1নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তাঃ দুর্গাপুর পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির সেই তিন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বাড়িতেই ভুরিভোজ করলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তিন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে রাজশাহী পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দুইজন এ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর জোনাল অফিসে তদন্তে গেলে এ ভুরিভোজের আয়োজন করা হয় বলে সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি দুর্গাপুর জোনাল অফিসের তিনজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী, বেকায়দায় ফেলে অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর জোনাল অফিসে তদন্তে যান রাজশাহী পবিসের এজিএম (অর্থ) হর্ষবর্ধণ প্রামাণিক ও এজিএম (পওর) ওবায়ব্দুল¬াহ আল মাসুম। তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুপুর ১ টার দিকে দুর্গাপুর জোনাল অফিসে গিয়ে তদন্তকাজ শুরু করেন। এসময় অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়টি বুঝতে না দিয়ে আস্থাভাজন কর্মচারীদের স্বাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সামনে হাজির করেন অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা ইসি আব্দুল জব্বার, এলটি আসাদুজ্জামান আসাদ ও জুনিয়র প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তকাজ শেষ করে ওই দিন রাতে ইসি জব্বার ও জুনিয়র প্রকৌশলী কামাল যৌথ ভাবে ভুরিভোজের আয়োজন করেন। এসময় তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা সহ ভুরিভোজে অংশ নেন দুর্গাপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম রমেন্দ্র চঁন্দ্র রায় সহ আস্থাভাজন কর্মচারীরা। রাত ৯ টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ওই দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম দফায় দুর্গাপুর জোনাল অফিসে তদন্ত করতে যান।
অভিযোগ উঠেছে যতবারই তারা তদন্ত করতে যান ততবারই তদন্ত প্রক্রিয়া ভুরিভোজ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।
এ বিষয়ে কথা বলতে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী পবিসের এজিএম (অর্থ) হর্ষবর্ধন প্রামাণিকের সাথে কথা বলা হলে তিনি অভিুযক্ত কর্মকর্তাদের বাসায় ভুরিভোজ করেননি বলে দাবী করে বলেন, অফিসের সবাইতো আর দুর্নীতিবাজ না। যারা জড়িত নই তাদের বাসায় খেয়েছি। তবে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কিছু জানান নি।
তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বথা হলে অপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এজিএম (পওর) ওবায়দুল¬াহ আল মাসুম জানান, তদন্ত রিপোর্ট জিএম স্যারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
তবে জিএম প্রদীপ কুমার দত্বের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ছুটিতে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।