1দৈনিক বার্তাঃ জমি থেকে উচ্ছেদ করতে তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে এক মহিলার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাধা দেওয়ার ওই মহিলাসহ ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নোড়ার চক উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলো,দেবহাটার নোড়ার চক গ্রামের তছিরউদ্দিনের মেয়ে বুলবুলি (৫০), তারিকুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৫),, তার মেয়ে তাহেরা ইসলাম টুম্পা (১৮). ধীরেন মন্ডলের ছেলে গোবিন্দ ম-ল (৪৫), তার স্ত্রী কালিদাসী মন্ডল (৩৮) ও ছেলে সোমনাথ মন্ডল (২২)।নোড়ার চকের বুলবুলি খাতুন জানান, অবিভক্ত বাংলার বসিরহাটের শাকচুড়ার জমিদার হরিচাঁদ বসুর প্রজা হিসেবে তার বাবা নোড়ারচকের ২০৩ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছিল। ওই জমিতে তার ভাই তরিকুল ইসলাম ও তিনি খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। ওই জমি এসএ রেকডে খাস হয়ে যাওয়ার পর রেকর্ড পরিবর্তণের মামলা করার জন্য স্থানীয় একটি মহলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। তারা দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তাদের মামলা পরিচালনা করে আসছে।

তিনি আরো জানান,সম্প্রতি তার ভাই তরিকুল চুক্তি ভঙ্গ করে ওই জমি চালতেতলা এলাকার কচিমউদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা খোকনের কাছে জমির ইজারা দিয়ে কিছু টাকা নেয়। এ নিয়ে পূর্বের চুক্তিগ্রহীতাদের সঙ্গে তারিকুল ও খোকনের বিরোধ বাঁধে। খোকন ওই জমি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য কয়েকবার হামলা করার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহম্মদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণিকে অবহিত করলে তারা একজন কেয়ার টেকার নিয়োগ করে ওই জমি দেখাশুনার দায়িত্ব দেন। একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন খোকনের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে তাকে (বুলবুলি) ওই জমি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করে। এরইর অংশ হিসেবে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে খোকনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় হমালাকারিরা তার বাড়ির তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। ঘরে আগুন দিতে গেলে বাধা দেওয়ায় তাকেসহ প্রতিবেশি গোবিন্দ ম-ল, সোমনাথ ম-ল, কালীদাসী ম-ল, হালিমা ও তাহেরাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।  বসত ঘর ও রান্না ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে তাকে মারতে মারতে রাস্তায় তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করে আগুণ নেভানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে  উপজেলার চালতেতলা গ্রামের আরশাদ গাজীর ছেলে ও খোকনের ভাগ্নে রবিউল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত গোবিন্দ মন্ডল ও কালিদাসীকে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যদের স্থানীয় ক্লিণিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালালউদ্দিন অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কালীগঞ্জ সহকারি পুলিশ সুপার মীর মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রবিউল্লাহ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।