1দৈনিক বার্তাঃ পাক প্রধানমন্ত্রীর ভারত আগমনকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া৷ নরেন্দ্র মোদীর এই পদক্ষেপের প্রশংসায় যখন বিজেপি নেতারা পঞ্চমুখ, তখনই তাঁর এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুখ খুলল শহীদ হেমরাজের পরিবার৷স্বামীর ‘হত্যাকারী’-দের কোনওভাবেই এদেশে বরদাস্ত করতে নারাজ হেমরাজের স্ত্রী ধর্মবতী৷ রবিবার ধর্মবতী আরও বলেন, মোদীর কখনওই শরিফকে আমন্ত্রণ করা উচিত হয়নি৷ যে সেনারা দেশের জন্য আত্মবলি দিয়েছেন তাদেরকে অপমান করেছেন মোদী৷এদিন হেমরাজের মৃত্যুর জন্য পাক প্রসাসনকে দায়ী করে ধর্মবতী বলেন, শরিফ জনসমক্ষে এই  নিষ্ঠুর ঘটনার জন্য ক্ষমা চান, নয় তো হেমরাজের কাটা মুণ্ডু ফিরিয়ে দিন৷তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জেনারেল ভিকে সিং আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি৷ সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের মাটিতে পা দেওয়ার পর থেকে অনশনে বসার পরিকল্পনা করেছেন হেমরাজের স্ত্রী৷শরিফ ভারতে থাকা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি৷ গত বছর ৮ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে পাক সেনাদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল হেমরাজের৷ পরে পাক সেনারা তাঁর মুণ্ডু কেটে দেন৷

শুধু হেমরাজের পরিবার নয়৷ মোদীর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন পাকিস্তানের জেলে প্রাণ হারানো ভারতীয় বন্দী সরবজিৎ সিংয়ের পরিবারও৷ শনিবার সরবজিতের বোন দলবির কউর মোদীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন৷তাঁর মতে, প্রত্যেক ভারতীয়ের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘নওয়াজ শরিফ কি এখন ‘ভদ্রলোক’ হয়ে গেলেন?’’ লাহোরে জেলে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হওয়ার পর ২০১৩ সালের ১ মে মৃত্যু হয় সরবজিতের৷