13দৈনিক বার্তাঃ ৬ দফা দাবিতে আট জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে ঢাকা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, জামালপুর, ঢাকা এবং গাজীপুরে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।

সোমবার দুপুরে জুবলীঘাট এলাকায় ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতি কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে পরিষদের আহ্বায়ক এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালক আমিনুল হক শামীম এ তথ্য জানান।

দাবিগুলো হলো, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসককে দ্রুত প্রত্যাহার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্রা ত্রি-হুইলার, ইমা, রুট পারমিট বহির্ভূত এলাকায় চলাচল এবং রুট পারিমট দেওয়া বন্ধ, লিজ নেওয়া বিআরটিসি ও দ্বিতল বাস উপজেলা ভিত্তিক চলাচল বন্ধ, স্কেলের নামে ট্রাকের চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ ছয় দফা।

এদিকে, হাইওয়েতে অনুমোদনহীন যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাসের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে মালবাহী ট্রাক, লরিও।

পরিবহন নেতারা জানান, ছয় দফা দাবি মানা না হলে এরপর গোটা উত্তরবঙ্গ এবং সবশেষ গোটা দেশ অচল করে দেওয়া হবে। এবার কোনোভাবেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেবল আলোচনা বা আশ্বাসে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের এ আন্দোলন স্থগিত হবে না।

অন্যদিকে, নেত্রকোনায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও বাস শ্রমিকদের দ্বন্বের রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।

গত বুধবার অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার বিকেলে বৈঠক ডেকে বিষয়টি মিমাংসা হলেও রাতে আবার অটোরিকশা চালকরা বাস ভাঙচুর করলে ম্রমিক ইউনিয়ন জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে শনিবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।

শনিবার সন্ধ্যায় টার্মিনাল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হলে ধর্মঘট আরও জোরদার হয়। জেলার সব অভ্যন্তরীণ রুটে ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা।