1দৈনিক বার্তাঃ  রাজশাহীর তানোরে আবাসিক ভবনে গড়ে উঠা মহানগর ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে রোগীর পরীক্ষা-নীরিক্ষার নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এখানে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে কর্মচারীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষার ফি দ্বিগুণ হারে নিয়ে পরিক্ষকের পূর্ব স্বাক্ষরকৃত প্যাডে রিপোর্ট দিচ্ছেন। এতে ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়ে রোগীরা মারাতœক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এখানে চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে গেলে সেখানকার আয়া, ওয়ার্ড বয় ও টেকনেশিয়ানরা এক্সরে করে রক্ত পরীক্ষা, ডায়াবেটিকস পরীক্ষা ও ইসিজি করানোর পরামর্শ দিয়ে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ক্লিনিকের বাইরে সাইনবোর্ডে অনেক বড় বড় চিকিৎসকের নাম থাকলেও গতকাল সোমবার সকাল ১২টা পর্যন্ত কোন চিকিৎসককে সেখানে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ ও মাদকদ্রব্য বিক্রিসহ নানা অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। ক্লিনিকে রোগী ধরার ফাঁদ হিসেবে কথিত সেবিকাদের দিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার, দালাল ও স্থানীয় হোমরা-চোমরাদের জন্য নিয়মিত মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয় বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, তানোরে মহানগর ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অনভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে জটিল অপারেশনসহ অপচিকিৎসা করা হচ্ছে। এ কারণে প্রায়ই রোগীদের মূত্যুর মূখোমূখি হতে হচ্ছে। ক্লিনিক মালিক অধিক মুনাফার লোভে ক্লিনিকের আড়ালে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে। কথিত নার্সদের দিয়ে এলাকার দালাল ও প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জনের জন্য অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে। সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ক্লিনিকটি গড়ে উঠেছে। অপরিচ্ছন্ন, নোংরা পরিবেশ ও অনিয়মের কারণে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে মহানগর ক্লিনিকের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায় করেছেন। কিšত্ত তাদের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি বরং দিন দিন তারা আরো বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসি ওই ক্লিনিকের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশি¬ষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মহানগর ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী হেলাল উদ্দিন মুঠোফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তানোর মহানগর ক্লিনিকের অফিস সহকারি গোলাম মোর্তজা ডাবলু বলেন, রাজশাহী শহরের মত এখানে তেমন রোগী আসে না। এখানে দিনে দুই একটা রোগী পাওয়া যায়। স্টাফদের বেতন যোগাতে শহরের তুলনায় কিছু টাকা বেশি নেয়া হয়। তবে তাদের এখানে কোনো অনিয়ম হয় না বলে তিনি দাবী করেছেন।