1 (1)দৈনিক বার্তাঃবিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ৫জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।কেউ ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকার অবৈধ,এই সংসদ অবৈধ। তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি কেন গেলো না। কিন্তু ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।কোনো দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ভোটকেন্দ্রে কুকুর ছিল। ১৫৪টা সিটে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। কাজেই তারা নির্বাচিত নয়। তারা কোনো ভোট পায়নি। তাই এই সরকার অবৈধ। এই সংসদ অবৈধ।

বুধবার মুন্সীগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাটসংলগ্ন হাটলক্ষমীগঞ্জ ময়দানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি এ দাবি করেন।দেশব্যাপী গুম, খুন,অপহরণ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকারের আমলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা অবৈধ সরকার। ফলে আওয়ামী লীগকে বিদায় নিতে হবে, শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারকে নিয়ে আসতে হবে।তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায়, তাই তারা সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায় না। তারা জনআতঙ্কে ভুগছেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুপড়ে পড়েছে। এখানে গার্মেন্ট সেক্টর সবচেয়ে বড় শিল্প।সেখানে অনেক নারী শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু সেটিকে দিনে দিনে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।কিছু দিন আগে রানা প্লাজা ধসে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন। তাদের ক্ষতিপূরণের নামে ব্যাপক টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্তরা আমার অফিসে এসেও বলেছে তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। এখন বিদেশিরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান খালেদা জিয়া।তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগের নীতিই হলো জোর করে ক্ষমতায় আসা, স্বাধীনতার পর তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনো তারা রক্ষী বাহিনী তৈরি করেছিল। এখন র‌্যাব দিয়ে তারা খুন-গুম করছে। স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী যা করেছিল, এখন র‌্যাব তাই করছে।

খুন-গুমের বাইরে এখন তারা ব্যবসাও করছে। র‌্যাব এখন গ্যাংরিন হয়ে গেছে। এটাকে কেটে বাদ দিতে হবে। সংস্কার-ফংস্কার করে কিছু হবে না। এদের দিয়ে আর কোনো ভাল কাজ হবে না।সারাদেশে বিএনপি ৩২০ খুন-গুমের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।

এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জের সেভেন খুনের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বলেন, এরা কার জামাই, কোন দলের নেতার আত্মীয় তা বিবেচনায় নেওয়া যাবে না।এ সময় খালেদা জনসভায় আগত মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কি কেউ বলতে পারবেন, আপনারা নিরাপদ? এ সময় জনসভা থেকে না না ধ্বনি উঠে।নারায়ণগঞ্জের ঘটনা সম্পর্কে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। পেট কেটে পেটের ভেতরে ইট ভরে সরকারি বস্তায় তাদের লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় হতভাগ্যদের লাশ ভেসে উঠেছে। মানুষ সব দেখেছে।

নারায়ণগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পত্রপত্রিকার ও টেলিভিশনের সাংবাদিক ভাইদের ধন্যবাদ জানাবো তারা নারায়ণগঞ্জের বর্বর ঘটনা তুলে ধরেছে। এর মাধ্যমে দেশবাসী ও আর্ন্তজাতিক বিশ্ব দেখেছে কিভাবে এদেশে মানুষ মারা হয়। যারা এ হত্যা করেছে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের খুনের মামলা দেওয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী তাদের কোর্ট মার্শাল হয় কিন্তু তাদের কিছুই হয়নি। এ সরকারের পক্ষে সবই সম্ভব।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা খুন করে টাকা নেয়। এদেশে তাদের বিচার হয় না। আমরা দাবি করবো খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। না হলে পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে খুনীদের বিচার করবে। সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে।খালেদা আরো বলেন, আমরা এই অনিরাপদ বাংলাদেশ চাই না। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ চাই।এ সময় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি। মানুষ ভোট দেয়নি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল অংশ নেয়নি।ভাগ-বাটোয়ারার রাজনীতিতে আমরা যেতে চাই না। বিএনপি জনভোটের নির্বাচন চায়।

আওয়ামী লীগ বলে ধর্মনিরপেক্ষ দল, কিন্তু তারা মুখে তা বললেও বিশ্বাস করে না। রাতের অন্ধকারে মতিঝিলে তারা মুসলমান আলেমদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। সেই হত্যারও বিচার হবে। সময় আসছে।

আগে ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলো আওয়ামী লীগ। এবার ৪২ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে, যোগ করেন খালেদা।তারা হিন্দুদের উপর হামলা করেছে। তাদের মন্দির উপসানালয় ধ্বংস করেছে। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ কেউ এদের কাছে নিরাপদ নয়। বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার অবৈধ বলে দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, জনগণ বলেছিল, সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলেই তারা ভোট দেবে, কিন্তু আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচন করেছে। জনগণ তাতে ভোট দেয়নি। ভোট কেন্দ্রে কুকুর পাহারায় ছিল। ১৫৪ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই হয়নি। বাকিরাও ভোটে নির্বাচিত হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, পবিত্র সংসদ চলে জনগণের। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকারের নেতৃত্বাধীন সংসদে মিথ্যাচার, গালাগালি চলছে। সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো আইন নেই। তারা সাত খুন করলেও সব মাফ। ফেনীতে তারা নিজেরা নিজের দলের লোককে খুন করেছে। নিজেরা নিজেদের খুন করে নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে তারা মামলা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশে নিরীহ মানুষদের হত্যা করে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাঁদিয়েছে। এবার আওয়ামী লীগকে কাঁদতে হবে। আওয়ামী লীগ যাদের হত্যা করেছে একদিন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের হাতে পায়ে ধরে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাইতে হবে।সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে আর কোনো হত্যা, গুম না করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে ক্ষমতা ছাড়ুন। দেশের মানুষদের শান্তিতে থাকতে দিন। দেশকে রক্ষা করুন। তিনি বলেন, এ সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু বোঝে না। এ দল দেশপ্রেমিক দল নয়। এরা অন্যদের প্রেসক্রিপশনে দেশ চালায়। এর জন্য আওয়ামী লীগকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

জাতীয় পার্টির (জাপা)চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আবারও খুনি বলে অভিযুক্ত করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ যার সঙ্গে আঁতাত করেছে, সেই এরশাদও একজন খুনি। তিনি দেশের মানুষ হত্যা করেছেন। তারও বিচার হবে।খালেদা জিয়া বলেন, জনগণ বলেছিল, সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলেই তারা ভোট দেবে, কিন্তু আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচন করেছে। জনগণ তাতে ভোট দেয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, পবিত্র সংসদ চলে জনগণের। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকারের নেতৃত্বাধীন সংসদে মিথ্যাচার, গালাগালি চলছে।

রক্ষীবাহিনী যা করেছিলো এখন র‌্যাব তাই করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নীতিই হলো জোর করে ক্ষমতায় আসা। স্বাধীনতার পর তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনো তারা রক্ষী বাহিনী গঠন করেছিল। এখন র‌্যাব দিয়ে তারা খুন-গুম করছে। স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী যা করেছিল, এখন র‌্যাব তাই করছে।খালেদা জিয়া বলেন, খুন-গুমের বাইরে এখন তারা ব্যবসাও করছে।

অবৈধ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে এবং জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে এলিট ফোর্স র‌্যাব দিয়ে মানুষ হত্যা করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়া বলেন, মুন্সীগঞ্জ বিএনপির ঘাটি। এখানের জনগণ চেনে ধানের শীষ। সেজন্য এখানে চারটা সিট ছিল একটা কেটে দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও কারচুপি হয়েছে। না হলে আবদুল হাইসহ কেউ এখান থেকে ফেল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গতবারের কারচুপিতে সবাই ফেল। এবারের নির্বাচনে তারা আমাদের কিছু ভাগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, আমরা ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাসী নই।

খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশে আজকে শুধু চলছে সন্ত্রাস আর টেন্ডারবাজি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ টেন্ডারবাজি, জমি দখল, বাড়ি দখল করছে। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচিত সরকার নেই বলেই আজকে বাংলাদেশের এই দুরবস্থা। সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি, জবরদখল। গুম-খুন।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি জোর করে ক্ষমতায় যাওয়া, জবরদখল করা আর খুন-গুম করা, এমন মন্তব্য করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “তারা পঁচাত্তর সালেও একই কাজ করেছিল। সেবার রক্ষীবাহিনী দিয়ে করেছিল, এবার করছে র‌্যাব দিয়ে।বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আজকে দেশে চলছে দখলবাজি। ফ্রিস্টাইলে সব চলছে। যার যা ইচ্ছা তা-ই করছে। টেন্ডার দখল, জায়গা দখল, দোকান দখল চলছে, সব দখল হচ্ছে।

সরকারের মন্ত্রীরা সবকিছু নিজের ইচ্ছামতো করছেন দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি নিয়ম-কানুন মানছেন না মন্ত্রীরা। সরকারি কর্মকর্তারা যখন মন্ত্রীদের নিয়মের কথা বলেন, তখন তা ছুড়ে ফেলে দিতে বলা হয় তাদের। সরকার নিয়মবহির্ভূত কাজ করছে। সরকারি সম্পদ বিক্রি করছে। তার টাকা সরকারি কোষাগারে কতটুকু জমা হয় কে জানে। তবে আওয়ামী লীগের লোকজনের পকেট ভারী হচ্ছে।

র‌্যাব এখন গুম-খুন-ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, র‌্যাব ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিলেও কাজ হবে না। শুধু সংস্কার নয়, এটি বাতিল করতে হবে। র‌্যাবকে তার সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেনি দাবি করে বেগম জিয়া বলেন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে। জঙ্গি উত্থাপন ও গুম-খুন ঠেকাতে তা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এরপর তারা জঙ্গি দমনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার র‌্যাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করে এর সুনাম নষ্ট করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন,সেনাবাহিনী থেকে লোকবল আনা হয় র‌্যাবে। কিন্তু রা এখন গুম-খুন-ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কাজেই র‌্যাব রাখার আর দরকার নেই। র‌্যাবে ক্যানসার দেখা দিয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে কোনো কাজ হবে না। তাই এই বাহিনীকে সংস্কার করলেই হবে না, এটি বাতিল করতে হবে।

আওয়ামী লীগের নীতি হলো জোর করে ক্ষমতায় যাওয়া, জবরদখল করা আর খুন-গুম করা, এমন মন্তব্য করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, তারা পঁচাত্তর সালেও একই কাজ করেছিল। সেবার রক্ষীবাহিনী দিয়ে করেছিল, এবার করছে র‌্যাব দিয়ে।বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা সবকিছু নিজের ইচ্ছামতো করছেন দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারি নিয়ম-কানুন মানছেন না মন্ত্রীরা। সরকারি কর্মকর্তারা যখন মন্ত্রীদের নিয়মের কথা বলেন, তখন তা ছুড়ে ফেলে দিতে বলা হয় তাদের। সরকার নিয়মবহির্ভূত কাজ করছে। সরকারি সম্পদ বিক্রি করছে। তার টাকা সরকারি কোষাগারে কতটুকু জমা হয় কে জানে। তবে আওয়ামী লীগের লোকজনের পকেট ভারী হচ্ছে।ফখরুল বলেন, খুন-গুম-অপহরণ করেই চলছে সরকার। নিজেদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে র‌্যাব দিয়ে মানুষ খুন-গুম-অপহরণ করা হচ্ছে। যারাই এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের গ্রেফতার নির্যাতন করে জেলে নিক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।

এর আগে,বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।কোরআন তেলাওয়াতের পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সকাল থেকেই সভাস্থলে অবস্থান করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর রিপন মল্লিক, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, শহর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র একেএম ইরাদত মানু, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জেলা জাসাস সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন সুমনসহ হাজারো নেতাকর্মী।

এদিকে খালেদা জিয়ার আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম; ‘বিএনপির ঘাঁটি, মুন্সীগঞ্জের মাটি’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে লঞ্চঘাট এলাকায় জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকা।খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দাবিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে জনসভাস্থলে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।

সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগান সহকারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন।দুপুর ২টার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামতে শুরু করে লঞ্চঘাটের জনসভা এলাকায়।এছাড়া, সকাল থেকেই জনসভা মঞ্চের সামনের সারি ও আশপাশে ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে রাখেন।অপরদিকে গুলশানের বাসা থেকে মুন্সীগঞ্জের পথে রওয়ানা হওয়ার পর খালেদাকে পথে পথে শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে এবার রাস্তার ধারে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়নি। তার যাত্রাপথে যাত্রাবাড়ীতে সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন ও নবী উল্লাহ নবীর সমর্থনে মুষ্টিমেয় সংখ্যক নেতাকর্মীকে ব্যানার- ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সাইনবোর্ড আর চাষাড়াতেও দেখা গেছে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজছেন অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী।অবশ্য দলীয় সূত্রের দাবি, আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণেই খালেদার যাত্রাপথে নেতাকর্মীদের এতো কম উপস্থিতি।

খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে মুন্সীগঞ্জ শহর ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়।বুধবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মুন্সীগঞ্জ শহরের ধলেশ্বরী নদীর তীরে জনসভাস্থলে জড়ো হন। দেশব্যাপী গুম, খুন, অপহরণ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপি এ জনসভা আয়োজন করেছে।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াতের পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু, ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকতউল্লাহ বুলু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন যুব বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।এ ছাড়া আরো উপস্থিত আছেন,সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রশিদ হাবীব।প্রসঙ্গত, এর আগে গুম-খুনের পপ্রতবাদে ১৭ মে রাজধানীর ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সে সময় অনুমতি মেলেনি। এরপর ২২ মে গুম-খুনের প্রতিবাদে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এবং সর্বশেষ গত শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি।