01দৈনিক বার্তাঃ পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের পর সেগুলোর অনুসন্ধান রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনহিউম্যান রাইটসওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।তা না হলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে নিরাপদ ও শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত করতে নেয়া উদ্যোগগুলো সফল হবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।

সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের ডেপুটি পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন,অনুসন্ধানের রিপোর্টের তথ্যগুলো শ্রমিকদের জানা প্রয়োজন, যাতে তারা সে অনুযায়ী পোশাক কারখানায় প্রবেশ করা নিরাপদ কিনা,সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।বাংলাদেশ : রিলিজ ফ্যাক্টরি ইন্সপেকশন শিরোনামে এইচআরডব্লিউ তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন করে রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ও পোশাক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।এইচআরডব্লিউ বলেছে, রিপোর্টগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশ করতে হবে যাতে করে পোশাক শ্রমিকরাও তা পড়তে পারে।

ওই দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১০০ জনের বেশি পোশাক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার দিন তাদের কাউকে বুঝিয়ে এবং কাউকে জোর করে রানা প্লাজায় প্রবেশ করিয়েছিল রানা প্লাজার মালিক। এই ট্র্যাজেডির ফলে বাংলাদেশ সরকার ও পশ্চিমা রিটেইল প্রতিষ্ঠানগুলো সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি পোশাক কারাখানায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কারখানাগুলোর ভবনে কোনো ফাটল আছে কিনা এবং অগ্নিনিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে সংগঠনগুলো অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করছে, তারা জনসমক্ষে সেসব রিপোর্ট প্রকাশের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত মাত্র ৪০টিরও কম পোশাক প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংগঠনগুলো।অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের কোনো রিপোর্টই এ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।

ফিল রবার্টসন বলেন, শ্রমিকদের তাদের অধিকার সম্পর্কে অবগত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা ও অনিরাপদ কোনো ভবনে কাজ করার বিষয়টি তারা যাতে প্রত্যাখ্যান করতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টি হলে সেটাই রানা প্লাজায় জীবন দেয়া পোশাক শ্রমিকদের জন্য যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন হবে।তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প আরও উদার ও স্বচ্ছ হলে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিষয়টি সুফল বয়ে আনবে।