1দৈনিক বার্তাঃ   রাষ্ট্রয়াত্ত্ব বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে  দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ  থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে  বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা েেনওয়ার সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারণ, ঋণ বিতরণ বন্ধ এবং নিয়োগ-পদোন্নতির পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ  ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। এ জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) অপসারণ, তিনটি শাখায় ঋণ বিতরণ বন্ধ এবং নিয়োগ-পদোন্নতিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে  কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এসব অনিয়মের দায় এড়াতে পারে না। অন্যদিকে, আইন অনুযায়ী  কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ  ভেঙে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। তবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারা অনুযায়ী  ভেঙে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেওয়ার জন্য সরকারকে সুপারিশ বা পরামর্শ দিতে পারে। এ জন্য পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুসহ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- শুভাশীষ  বোস, শ্যামসুন্দর সিকদার, নীলুফার আহমেদ, কামরুন নাহার আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম ও আনিস আহমেদ। তাদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকও পদাধিকার বলে সদস্য।

এর আগে গত ২৬  মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক  বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়। পরদিন ঢাকার গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখার ঋণ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ  দেয়। এর একদিন পর  বেসিক ব্যাংকের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বেসিক ব্যাংককে নির্দেশ দেয়  কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারণ, ঋণ বিতরণ বন্ধ এবং নিয়োগ-পদোন্নতির রাশ টানার পর রাষ্ট্রায়ত্ত  বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ  ভেঙে  দেয়ার সুপারিশ বৃহস্পতিবার করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশে মন্ত্রণালয় কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বিকালেবলেন, চিঠিটি এখনো আমি দেখিনি। তবে গভর্নরের সঙ্গে সকালে কথা হয়েছে, সব বিষয়ই আমি জানি।

সেক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে  দেয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্ষদ ভাঙা হলে দায়িত্ব (ব্যাংকটির) নেবে কে? এজন্য পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে।তা কবে নাগাদ হতে পারে- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, শিগগিরই।এর আগে হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পর রাষ্ট্রায়ত্ত সববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।  সেক্ষেত্রেও পরিচালনা পর্ষদ  পুনর্গঠন করা হয়েছিল।