1দৈনিক বার্তাঃ দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ধর্ষনকালে চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্লাকে আটকে গণপিটুনি দিয়েছে।

রাতেই বিচারের আশ্বাস দিয়ে তার ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মোল্লা লম্পট আ’লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মেয়েটির বাড়ী গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করতে না পারলেও আওয়ামী লীগ নেতার জামা-কাপড় উদ্ধার করেছে।

গতকাল রাত ১১টার দিকে খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জানান, জোতপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আয়না খাতুনের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াহিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল স্বামী মিজানুর বাড়ীতে না থাকায় ইয়াহিয়া রাত ১১টার দিকে আয়নার বাড়ীতে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষন করতে থাকে। এ সময় বাড়ীর লোকজনসহ স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে হাতে-নাতে বিবস্ত্র অবস্থায় আটকে গনপিটুনি দেয়। পরে রাতেই ঘটনাটি জানাজানি হলে ইয়াহিয়ার ভাই খাষকাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গণি মোল্লা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা মেয়ের বাবার কাছে উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে শাসি্ত দেয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়।

মেয়েটির বাবা খোরশেদ আলী সিকদার জানান, পুলিশ রাতে বাড়ীতে এসে ইয়াহিয়ার গেঞ্জি, প্যান্টের বল্টে ও চশমা নিয়ে গেছে। বিচার দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় মামলা করা হয়নি তবে উপযুক্ত বিচার না পেলে মামলা করা হবে।

চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নওজেশ আলী মোল্লা বলেন, ইয়াহিয়ার জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চৌহালী থানার উপ-পরিদর্শক শামসুল হক জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলেই পৌছার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান বিচারের আশ্বাস দিয়ে তার ভাই ইয়াহিয়াকে নিয়ে গেছে। আলামত হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতার গেঞ্জি ও বল্টে আনা হয়। মেয়েটির পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে বলা হলেও আজ বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি।