1দৈনিক বার্তাঃ চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, গাইবান্ধা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানানঃচুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলায় বজ্রপাতে এক জন কলেজ ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলো, জীবননগর উপজেলায় তেতুলিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র সাদের আলী (২২), সাইদুল ইসলাম (২৪) ও দামুড়হুদা উপজেলার মান্দার আলী (৪০)। এ ঘটনায় পাঁচজন মহিলাসহ ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক।

জানা যায়,জীবননগর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে সাদের আলী, আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম ও দামুড়হুদার নাস্তিপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মান্দার আলীসহ তার ২ টা হালের গরু গতকাল (আজ) শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।

একই সময় বজ্রপাতে ৫ মহিলাসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো, জীবননগরের তেতুলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বশির আলী (২৪), বক্সর ছেলে আব্দুল হান্নান (২৮), হাশেম আলীর স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৩২), রহিম উদ্দীনের ছেলে আবু বকর (৪৬), খয়েরহুদা গ্রামের মহিরদ্দীনের বানু খাতুন (৩৫), গোপাল নগর গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে শহিদুল, সাদেক আলীর ছেলে শাহীন (২২), যাদবপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে সোহেল (৪৫), আবুল হাশেমের ছেলে রোকন (২২), কাটাপোল গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী বীনা খাতুন (৩০), তার মেয়ে হাজেরা (১৫), কুশডাঙ্গা গ্রামের আলী কদরের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৪),মৃত রতন আলীর ছেলে লোকমান (৬৫), ইছাহাকের ছেলে বাহাদুর (৩০), হাবিবের স্ত্রী মনিকা খাতুন (৩৫) ও দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের সাংবাদিক কামরুজ্জামানের মেয়ে নাফিজা খাতুন (১২), কুড়ুলগাছি গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া।

আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে চিতলমারীতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।চিতলমারী থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার জানান, শনিবার দুপুরে বৃষ্টির সময় মাঠে কাজ করা সময় বজ্রপাতে আকরাম শেখের (৪৫) মৃত্যু হয়।

আকরাম চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রামের সাখাওয়াত শেখের ছেলে।ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো আটজন।

নিহতরা হলেন-মহেশপুর উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামে সাইদুর রহমান ( ২৩ ) ও কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের আয়নাল মোল্লা ( ৪০ )।মহেশপুর থানার ওসি শাহাজাহান আলি জানান, সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করার সময় কুশোডাঙ্গা গ্রামের সাইদুর বজ্রপাতে আহত হন। পাশ্ববর্তী জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান।

কোটচাঁদপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান জানান, সকালে কাগমারি গ্রামের আয়নাল মোল্লা বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।এ সময় বজ্রপাতে আহত হন।তাকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়াও জেলার শৈলকুপা, মহেশপুর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় বজ্রপাতে আট জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

সকালে নিজ বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আমেনা বেগম (৪০) মারা যান।আমেনা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম সাদেক লেবু বলেন, সকাল ৯ টার দিকে টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে আমেনা বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকালে বজ্রপাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের প্রয়াত গিয়াস উদ্দীনের ছেলে আনিসুর রহমান (৫৫) এবং দুর্লভপুর ইউনিয়নের নতুন বারোরশিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি অশিকুর রহমান জানান, আম বাগান পাহারা দেয়ার সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে আনিসুরের মৃত্যু হয়।এদিকে দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ নাজমুল কবির মুক্তা জানান, সকালে বাড়ির পাশে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়।