1দৈনিক বার্তাঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চরম বিরাজ করছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময়ের পর মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে।
দোছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও বিজিপি নিজ নিজ সীমান্তে নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে। উভয় দেশ সীমান্তে বাড়িয়েয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য নায়েক মিজানুর রহমান নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
বিজিপির আরাকান রাজ্যের সিতুইয়ের পুলিশ কর্নেল তুনও শুক্রবার দেশটির একটি পত্রিকাকে জানান, ২৮ মে সংঘর্ষ শুরু হলে অন্য পক্ষের (বাংলাদেশ) একজন আমাদের পুলিশ বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে শনিবার সকাল থেকে বিজিবি অবজারভেশন পোস্টে (বিওপি) সেনা সদস্যসহ আরো প্রায় দেড় শতাধিক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি কক্সবাজার চট্টগামের বিভিন্ ব্যাটালিয়ন থেকে তাদের আনা হয়। আপরদিকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীও তাদের সীমান্তেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
এ পরিস্থিতিতে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ফলে উভয় দেশের সীমান্ত এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে পাইনছড়ি এলাকার আশপাশের পাড়াগুলোর লোকজন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বুধবার মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের গুলিতে নিহত হন বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান। শুক্রবার তার লাশ ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে উল্টো গুলি বর্ষণ করে বিজিপি। পাল্টা গুলি চালায় বিজিবি। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই গুলিবিনিময়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে।