দৈনিক বার্তাঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হীরাঝিলের মুক্তিনগর এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও মেয়েকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সুমন নামের এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি। নিহতরা হলেন ময়না বেগম ও তার ১২ বছর বয়সী কিশোরী মেয়ে নূরজাহান আক্তার স্বপ্না। পুলিশ ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি উদ্ধার করেছে। শনিবার ভোর রাত তিনটায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন জানান, মুক্তিনগর এলাকার শুক্কুর মিয়ার বাড়িতে গত চারমাস ধরে সুমন স্ত্রী ময়না বেগম, মেয়ে নূর জাহান আক্তার স্বপ্না ও পাচঁ বছরের ছেলে ইমনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। বাড়ির মালিক সম্পর্কে ময়না বেগমের বড় বোন। স্ত্রীর বড় বোনের বাড়িতে ভাড়া থাকা নিয়ে প্রায়ই সুমনের সাথে ময়না বেগমের ঝগড়া হতো। সুমন মাদকাসক্ত হওয়ায় কোন কাজ করতো না। তাই এ বাসার ভাড়া সে নিয়মিত দিতো না।
শনিবার রাতেও এ নিয়ে ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে । এক পর্যায়ে সুমন উত্তেজিত হয়ে বাটি দিয়ে কোপাতে শুরু করে স্ত্রী ময়না বেগমকে ।এ সময় কিশোরী মেয়ে স্বপ্না বাধা দিতে এলে মাদকাসক্ত সুমন তার মেয়েকেও কোপায়। এ সময় তাদের আতর্ চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘুম থেকে উঠে ঘরের জানালা ভেঙ্গে দেখতে পায় সুমন স্ত্রী ও মেয়েকে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে। উত্তেজিত সুমন পাশের রুমে থাকা ছেলে ইমনকে হত্যার উদ্দশ্যে নিয়ে আসে। এ সময় প্রতিবেশিরা তাকে ভয় দেখালে সে সাড়ে তিন বছরের ইমনকে হত্যা না করে খাটের উপরে বসিয়ে রাখে। ঘাতক সুমন ঘর থেকে পালানোর চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে সুমনকে গ্রেফতার ও লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায় নিহত ময়না বেগমের বাড়ি ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায়।