29-07-14-Prime Minister_Eid Greeting At  Gono Bhaban-1

দৈনিক বার্তা –ঢাকা,২৯জুলাই : ঈদ-উল ফিতরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে৷সরকার সোনার বাংলাদেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে৷বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ মঙ্গলবার ঈদের সকালে গণভবনে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা৷ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ গণভবনে সবার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী৷ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ৷ ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারব৷ এই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে৷ আমি শুধু দেশবাসীর দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই৷

অনুষ্ঠানের প্রথমেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান৷এরপর সারি বেঁধে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ৷ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল তার পাশে ছিলেন৷ হাসিনা বলেন, সমগ্র দেশবাসীকে আমার ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি৷ ঈদ মোবারক৷ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এটুকু বলব, দেশবাসীর দোয়া চাই৷তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, তারা সুযোগ দিয়েছেন- ভোটের মাধ্যমে৷ সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করে যাচ্ছি৷সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারলে বাংলাদেশে আর ক্ষুধা বা দারিদ্র্য থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা৷

দেশের সাধারণ নাগরিকদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি,সবচেয়ে বড় কথা,আমরা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷এই রমজান মাসে মানুষ ঢাকাসহ সারা দেশে যেভাবে কেনাকাটা করেছে, তাতে ঠিকই প্রতিয়মান হয় যে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে এবং মানুষ এখন অনেক শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে৷ঈদের সময় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে যারা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, দূরে যারা বাড়িতে গেছেন, তাদের যাতায়াতের জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে; যাতে সুষ্ঠুভাবে সবাই গ্রামে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন৷সকলে সেভাবেই গিয়েছে৷ এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই৷

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যারা কাজ করেছেন, তারাও প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেয়েছেন৷ আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে৷ মধ্যরাতের পরও অনেকে কেনাকাটা করেছেন৷ আল্লাহর রহমতে তেমন কোনো অঘটন ঘটেনি৷ খুব শান্তিতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঈদের কেনাকাটা করতে পেরেছে৷ দেশে দারিদ্যের হার কমার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত ছয় মাসে দারিদ্যের হার আরো এক ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছি৷ ২০০৯ এ যখন সরকার গঠন করি, সেটা ছিল ৩১ ভাগ৷ সেটা এখন ২৫ ভাগে নেমে এসেছে৷ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিচারপতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷গণভবনের প্রাঙ্গণে শামিয়ানা টাঙিয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়৷

সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশবাসী সুন্দরভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারছেন৷ নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছেছেন৷ কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷সবশেষে বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সকলের সহযোগিতা চেয়ে আরেকবার ঈদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান৷ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও তার দুই কন্যাসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷