রাজধানীর কাঁচাবাজার
দৈনিক বার্তা- ঢাকা,১আগষ্ট : ঈদ শেষে রাজধানী ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ৷ আর ঘরে ফিরেই নিত্যদিনের চাহিদা পূরণে কেনাকাটার জন্য ছুটছেন বাজারে৷ তাই গত দু’দিনের চেয়ে শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা লক্ষ্য করা যায়৷রাজধানীতে আবারও টমেটোসহ দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশিরভাগ শাক-সবজির৷ আর সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বেড়েছে মাছ ও গরু-খাসির মাংসের দাম৷ তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি ও ব্রয়লার মুরগি৷

বাজার ঘুরে দেখা গেছে,সরবরাহ বাড়ায় বেশিরভাগ সবজিরই দাম কমেছে৷ গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে বেগুন৷ ১০ টাকা কমে করলা হয়েছে ৫০ টাকা৷ তবে ১০ টাকা বেড়ে ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়৷ আর টমেটোর দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে৷ আবহাওয়া ভালো থাকলে দাম আরও কমার সম্ভাবনার কথাও জানালেন বিক্রেতারা৷তবে সবজির দামের ব্যাপারে বিক্রেতারা বললেন ভিন্নকথা৷ এদিকে, সরবরাহ বেশি ও ক্রেতা কম থাকায় কমেছে সব ধরনের শাকের দাম৷ তবে বেড়েছে মাছের দাম৷

শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দু’দিনের তুলনায় শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা বেশি৷ রমজান শেষে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মাছের দাম৷ তবে মাংসের দাম স্থিতিশীল৷ আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় টমেটোর দাম সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, রমজানে যেখানে বেগুনের কেজি প্রতি মূল্য ছিল ৬০ টাকা, এখন তা কমে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷ শশা ৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷

আলু কেজি প্রতি ২৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ২০ টাকায়, কাঁচামরিচ ১২০ টাকায়, লেবু হালি ২০ টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, ডাঁটা শাক ১০ টাকা, পাটশাক ৮ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পিঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ( দেশি) ৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৪০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা, হলুদ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷এছাড়া চিনি ৪৫ টাকা, মসুর ডাল দেশি ১০০ টাকা, ভারতীয় ৮০ টাকা, মুগ ডাল ১০৫ টাকা,অ্যাংকার ডাল ৪৬ টাকা, বুটের ডাল ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৫ লিটার ৫৪০ টাকা, সরিষার তেল এক লিটার ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷

অন্যদিকে, রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর পাল্লা (৫ কেজি) ১০০ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, শশা (পাল্লা) ৮০ টাকা, করল্লা ১২০ টাকা,ধুন্দুল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, পিঁয়াজ (পাল্লা) ১৮০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, লালশাক ৬০ টাকা,পটল ১০০ টাকা, মরিচ (পাল্লা) ৪০০ টাকা, ধনেপাতা (পাল্লা) ৬০০ টাকা,কাকরোল ৫০ টাকা, আদা ৬০০ টাকা পাল্লা বিক্রি হচ্ছে৷তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা৷

আর ঈদের পরই বেড়ে গেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম৷ ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায় আর কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫শ টাকায়৷ তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি ও ব্রয়লার মুরগী৷ গরুর কলিজা ২৫০ টাকায়, গরুর মগজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷মাছের দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন৷

রাজধানীর নয়া বাজারে ইলিশ মাছের দামদর করছিলেন মোহাম্মদ আমিনুল৷ দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই সামনেও যাওয়া যাচ্ছে না৷ দুইটা ইলিশ ১৬০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছে, ১৪০০ পর্যন্ত বলেছি, তারপরও দিচ্ছে না৷ রুই মাছ কেজি প্রতি ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৩৫০ টাকা, বাইল্যা ৫৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷