DCC-logo
দৈনিক বার্তা-ঢাকা,৪আগষ্ট : নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণ) নির্বাচন করতে সীমানা জটিলতা নিরসনের জন্য বার বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি৷ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন৷

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড এ সুলতানগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণ করে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ করার জন্য অনেকদিন ধরে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে কমিশন৷

সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন৷ তারা আগ্রহ না দেখালে বা দ্রুত কাজ না করলে আমাদের কিছু করার নেই৷ উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যাপারে এ কমিশনার বলেন, এছাড়া ডিসিসি উত্তরে সীমানা বর্ধিত করে কিছু এলাকা যোগ করা হচ্ছে৷ এজন্য একটু সময় লাগছে৷

কবে নাগাদ দুই ডিসিসির নির্বাচন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত৷ সরকার বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে আমরা দ্রুত নির্বাচন করতে পারব৷

নভেম্বরে ডিসিসি নির্বাচন হবে কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ সংবাদ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ কোনো ভোটার তালিকা বা সীমানা না থাকায় কমিশন এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি৷

এদিকে, নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে যারা গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি তাদের আরো সময় দিতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)৷ সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাব না দিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে৷ তাই এ সিদ্ধান্তের দিকেই এগুচ্ছে ইসি৷

আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দলগুলোকে তাদের বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়৷ পরপর ৩ বছর কেউ এই হিসাব না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশনাও রয়েছে৷

আইনি সে বিধানের আলোকে ৪০টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৫টি দল যথাযথ সময়ের মধ্যেই তাদের হিসাব জমা দিয়েছে৷ আর বাকি ১৫টি দল যার যার সুবিধামতো সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে৷

এসব দলের মধ্যে রয়েছে- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, গণফোরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনএফ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, এনপিপি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)৷

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, গতবারও অনেক দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলো৷ কিন্তু সে আবেদন গ্রহণ করা হয়নি৷ বরং যারা হিসাব ডাকযোগে পাঠিয়েছিলো কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছেনি, তাদের প্রতিবেদনও আমলে নেওয়া হয়নি৷ তবে এবার সময় বাড়ানো হতে পারে৷ কেননা, আওয়ামী লীগ সময় চেয়েছে৷