Ebola outbreak in Guinea
দৈনিক বার্তা : ঢাকা,৮আগষ্ট : পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ইবোলো ভাইরাস৷ এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দেশগুলোতে৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে৷পশ্চিম আফ্রিকায় প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবি্লউএইচও)৷

ইবোলার বিস্তার ঠেকাতে করণীয় নির্ধারণে সুইজ্যারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবি্লউএইচও) বিশেষজ্ঞদের দুই দিনের বৈঠক শেষে শুক্রবার এই ঘোষণা এলো৷লাইবেরিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন ও নাইজেরিয়াতেও ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে এ পর্যন্ত ৯৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃতু্য হয়েছে৷

ইবোলা মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ায় লাইবেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে সে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে৷ডবি্লউএইচও বলছে, ইবোলা যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা অভাবনীয়৷এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আরো ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণতি হবে মারাত্মক৷

ডবি্লউএইচওর পরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেন, এ ভাইরাস এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে যে তা ঠেকানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করায় নজরদারি ও সতর্কতা আরো বাড়বে৷ দেশগুলো এ বিষয়টিতে মনযোগী হবেন৷

যেসব দেশে ইবোলা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে সেখানে আন্তর্জাতিকভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চ্যান বলেন, কেবলমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একা এ মহামারি সামাল দিতে পারবে না৷

পশ্চিম আফ্রিকার যেসব দেশে ইবোলা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে ভ্রমণ ও বাণিজ্য বন্ধ রাখার কোনো সুপারিশ এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করেনি৷ তবে বিমানবন্দরসহ সব জায়গাতেই ইবোলা সনাক্ত করা ও চিকিত্‍সার ব্যবস্থা রাখা জরুরি বলে সতর্কতায় জানিয়েছে৷ইবোলা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশই মারা যাচ্ছিলেন৷ তবে বর্তমানে তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে৷

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, রক্তক্ষরণ, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, ডায়রিয়া ও বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়৷ সংক্রমণের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে৷থুথু ও ঘামের মাধ্যমেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে৷

EBOLA VIRUS