index22দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫আগষ্ট: বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট৷সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা সংসদের হাতে নেওয়ায় এই বিভাগের স্বাধীনতা ইমিটেশনের অলংকারের মতোই চাকচিক্যময় ও নকল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ৷

রিজভী জানান,মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়া সারাদেশের জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ মিছিল হবে৷ এরপর বুধবার একই ইস্যুতে ঢাকার ১৫টি স্থানে ২০ দলের প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে৷এছাড়া ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতির গুম দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা-মহানগর পর্যায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে৷তিনি বলেন, আদালতের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতেই বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা সংসদের হাতে নেওয়া হচ্ছে৷এভাবে পুরো ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতেই রাখা হচ্ছে৷এরপর বিচারবিভাগের স্বাধীনতা থাকবে ইমিটেশনের অলংকারের মতো৷

রিজভী বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীদলের ওপর অত্যাচার করেই যাবেন৷ তাই তার মুখে খুন, খুনি, হত্যার মতো শব্দ চুইংগামের মতো লেগে আছে৷তিনি বলেন, এই সরকারের দুই কান কাটা৷ তাই জনগণকে তোয়াক্কা করে না৷ লোকলজ্জার বালাই নেই তাদের৷তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে বন্যযুগে পরিণত করতে অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে৷

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে মঙ্গল ও বুধবার মিছিল সমাবেশ করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট৷এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক গুম দিবস (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স) পালনে ৩০ অগাস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে করা হবে মানবন্ধন৷রিজভী বলেন, সংবিধানের বিচার বিভাগ পৃথককরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে বলা হলেও আদালতের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য সংসদে বিচারপতিদের অভিশংসন আইন করা হচ্ছে৷ এই আইনের দ্বারা কার্যত সব বিচারকের ওপর প্রধানমন্ত্রীর খবরদারি করার ক্ষমতা নিশ্চিত করা হবে৷

বর্তমান সরকার ‘নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সব ধরনের আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী৷বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে গত ১৮ অগাস্ট সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় মন্ত্রিসভা৷

১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় উচ্চ আদালতের বিচারকদের পদের মেয়াদ নির্ধারণ ও তাদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল৷ কিন্তু ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়৷ চতুর্থ সংশোধন বাতিল হলে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের আমলে এক সামরিক আদেশে বিচারপতিদের অভিশংসনের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়৷সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবটি সংসদে পাস হলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক অপসারণের নিয়মটি বাদ পড়বে৷রিজভী বলেন, আমরা মনে করি, এ আইনের দ্বারা মূলত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে অলঙ্কারের মতো৷এর আগে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গত ১৭ অগাস্ট রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল এবং জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে ১৯ অগাস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে ২০ দল৷

নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনে দাবিতে জনমত গঠনের অংশ হিসেবে ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগের কর্মসূচিও রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোটের৷এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, জাগপা মহাসচিব খন্দকার লুত্‍ফর রহমান, এনডিপি মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরফত আলী সপু প্রমুখ৷

বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট৷সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা সংসদের হাতে নেওয়ায় এই বিভাগের স্বাধীনতা ইমিটেশনের অলংকারের মতোই চাকচিক্যময় ও নকল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ৷

রিজভী জানান,মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়া সারাদেশের জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ মিছিল হবে৷ এরপর বুধবার একই ইস্যুতে ঢাকার ১৫টি স্থানে ২০ দলের প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে৷এছাড়া ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতির গুম দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা-মহানগর পর্যায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে৷তিনি বলেন, আদালতের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতেই বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা সংসদের হাতে নেওয়া হচ্ছে৷এভাবে পুরো ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতেই রাখা হচ্ছে৷এরপর বিচারবিভাগের স্বাধীনতা থাকবে ইমিটেশনের অলংকারের মতো৷

রিজভী বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীদলের ওপর অত্যাচার করেই যাবেন৷ তাই তার মুখে খুন, খুনি, হত্যার মতো শব্দ চুইংগামের মতো লেগে আছে৷তিনি বলেন, এই সরকারের দুই কান কাটা৷ তাই জনগণকে তোয়াক্কা করে না৷ লোকলজ্জার বালাই নেই তাদের৷তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে বন্যযুগে পরিণত করতে অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে৷

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে মঙ্গল ও বুধবার মিছিল সমাবেশ করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট৷এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক গুম দিবস (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স) পালনে ৩০ অগাস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে করা হবে মানবন্ধন৷রিজভী বলেন, সংবিধানের বিচার বিভাগ পৃথককরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে বলা হলেও আদালতের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য সংসদে বিচারপতিদের অভিশংসন আইন করা হচ্ছে৷ এই আইনের দ্বারা কার্যত সব বিচারকের ওপর প্রধানমন্ত্রীর খবরদারি করার ক্ষমতা নিশ্চিত করা হবে৷

বর্তমান সরকার ‘নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সব ধরনের আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী৷বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে গত ১৮ অগাস্ট সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় মন্ত্রিসভা৷

১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় উচ্চ আদালতের বিচারকদের পদের মেয়াদ নির্ধারণ ও তাদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল৷ কিন্তু ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়৷ চতুর্থ সংশোধন বাতিল হলে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের আমলে এক সামরিক আদেশে বিচারপতিদের অভিশংসনের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়৷সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবটি সংসদে পাস হলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক অপসারণের নিয়মটি বাদ পড়বে৷রিজভী বলেন, আমরা মনে করি, এ আইনের দ্বারা মূলত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে অলঙ্কারের মতো৷এর আগে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে গত ১৭ অগাস্ট রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল এবং জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে ১৯ অগাস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে ২০ দল৷

নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনে দাবিতে জনমত গঠনের অংশ হিসেবে ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগের কর্মসূচিও রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোটের৷এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, জাগপা মহাসচিব খন্দকার লুত্‍ফর রহমান, এনডিপি মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরফত আলী সপু প্রমুখ৷