resize_1409399195

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০আগষ্ট: মগবাজারে তিন খুনের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত৷

আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. ইরফান উল্লাহ রিমান্ডের আদেশ দেন৷

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম মিয়া আসামি ফারুখ ও সোহেলকে আদালতে হাজির করে নয়দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন৷অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবিরা তাদের রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন৷

এসআই মাহমুদুর বলেন, বিচারক দুপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন বাতিল করে দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷জামিনের আবেদনে বলা হয়, দু্ই আসামি লন্ড্রি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত৷ তারা এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন৷ শুধু সন্দেহের বশে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে৷ তাদের জামিন দেওয়া হোক৷অন্যদিকে রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, দুই আসামি হত্যার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে ও মূল হোতাদের সম্পর্কে তথ্য পেতে তাদেরকে নয়দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন৷

শুক্রবার গভীর রাতে মগবাজার এলাকা থেকে এই আসামিকে আটক করা হয়৷ তারা হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কালা বাবুর অন্যতম সহযোগী বলে জানিয়েছে এই পুলিশ৷

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার সোনালীবাগে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বৃষ্টি আক্তার রানু (৩০), ভাড়াটিয়া মুন্না (২২) ও বিল্লাল হোসেনকে (২০) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা৷

ওই হামলায় আহত রানুর ভাই হৃদয় (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন আছেন৷এঘটনায় শুক্রবার রাতে ১৫ জনকে আসামি করে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত রানুর ভাই শামিম ওরফে কালা চাঁন৷

গ্রেপ্তার দুজন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কালা বাবু, ফয়সাল আহমেদ রনি, শাহাদাত, রাজু, তপু, আরিফ, মারুফ, বিল্লাল, ঠাণ্ড, সিরাজ, পিচ্ছি রনি ও জনি৷মামলার বাদী কালা চাঁন মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক৷মামলা দায়েরের আগে শুক্রবার সকালে সোনালীবাগের এক বাসা থেকে আসামি কালা বাবুর দুই চাচিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷