Mahbub-ul-Alam-Hanif1দৈনিকবার্তা-কুষ্টিয়া, ৫সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আল-কায়েদা এ দেশের মৌলবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলো, বিশেষ করে যারা যুদ্ধাপরাধী এবং বিভিন্ন সময় ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তাদের মাধ্যমেই সংগঠনটির বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে৷

শুক্রবার তিনি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷হানিফ বলেন, যেকোনো মূল্যে এ ধরনের ততপরতা (আল-কায়েদার) প্রতিরোধ ও প্রতিহত করা হবে৷ সরকার তত্পর ও সজাগ আছে৷

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ওই সময় জাতিসংঘে বিল উত্থাপনসহ অনেক কিছু করা হয়েছিল৷ তখন থেকে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ আওয়ামী লীগের প্রতি নেতিবাচক ধারণা করা আসছে৷আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ (এমপি) বলেছেন, ৭মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল জয় বাংলা৷

মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম তার সদ্য প্রকাশিত ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে গ্রন্থে দাবি করেছেন ঐতিহাসিক ৭মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল জয় পাকিস্তান৷ এর প্রতিউত্তরে হানিফ এই কথা বলেন৷হানিফ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৩বছর পরে ওনি এই কথা কোথায় পেলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়৷ ওই জনসভায় ৭লাখ জনতা উপস্থিত ছিল৷ তাদের কেউ এই শব্দ শোনেননি৷ একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসাবে তিনি ক্যান্টনমেন্টে বসে এই কথাটি কিভাবে আবিষ্কার করলেন ?

তিনি বলেন, কার উদ্দেশ্যে, কোনো ষড়যন্ত্রে অংশ হিসাবে, কার প্ররোচনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে সেটা দেখার বিষয়৷ তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন৷

কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ হানিফ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ শুরু হওয়ার পরই পশ্চিমা অনেক দেশ থেকে এই বিচার বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে৷ বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে৷ এসব দিক বিবেচনা করে তাদের ভেতর থেকে কোনো ষড়যন্ত্র এই সরকারের বিরুদ্ধে থাকতে পারে, থাকাটা অস্বাভাবিক নয়৷ বিষয়টাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷

এ সময় সেখানে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু তৈয়ব বাদশা,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী মর্তুজা খসরুসহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷