সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম

দৈনিকবার্তা-ঢাকা : সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক একে খন্দকারের লেখা ১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটিতে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা বাস্তবতা বিবর্জিত’৷বইটিতে তিনি যে মতামত দিয়েছেন তা সম্পূর্ণই তার নিজস্ব৷ এ সব মতের সঙ্গে ফোরামের নীতি,আদর্শ ও ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধির কোনো মিল নেই৷শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতারা এসব কথা জানান৷

এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তমের সদ্য-প্রকাশিত ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের ভুল তথ্যে বিভ্রানত্ম না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১৷ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন হাবিব স্বাৰরিত এক যৌথ বিবৃতিতে শনিবার এ আহবান জানিয়ে বলা হয় , ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইটি একানত্মভাবেই তার নিজস্ব, যার বক্তব্য ও মনত্মব্যের সাথে ফোরামের নীতি, আদর্শ ও ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধির মিল নেই৷

বিবৃতিতে খন্দকারের বহুল বিতর্কিত বইটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিতে লিপ্ত দেশী-বিদেশী চক্রানত্মকারীদের হাতে বিভ্রানত্মি ছড়াবার নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে আশংকা প্রকাশ করে বইটির দ্রম্নত তথ্য সংশোধন ও পরিমার্জন আমা করা হয়৷

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেন,স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পর, মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার তার বইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতর্ৃক ২৬ মার্চ ১৯৭১-এ প্রদত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে বিভ্রানত্মিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন- যাকে আমরা চরম দুর্ভাগ্যজনক ও বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে মনে করি৷ আমরা মনে করি- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা একটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক সত্য- যা সারা বিশ্বে সংরৰিত আছে৷

বইটিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রাণপুরম্নষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কেও যে দাবি উত্থাপন করেছেন, তা বাসত্মবতা বিবর্জিত উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এমন বিভ্রানত্মিকর বক্তব্য তাদের হতবাক করেছে৷

তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল পাকিসত্মানের সামরিক স্বৈরাচার ও শোষণ-নিপীড়নের বিরম্নদ্ধে জাতির ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংগ্রাম ও গণমানুষের আত্মত্যাগের চূড়ানত্ম পরিণতি, যার মুখ্য নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ কিন্তু এ কে খন্দকার তার বইতে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, জাতির গৌরবোজ্জ্বল সেই ঘটনাবলির ওপর মনত্মব্য করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সফল রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা ও দূরদর্শিতা সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলেছেন, যা তাদের হতবাক করেছে৷

মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণকারী যে কোনো ব্যক্তি ও ইতিহাস জ্ঞানসম্পন্ন দেশবাসীর কাছে তার এসব বক্তব্য অনাকাক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে খন্দকারের বহুল বিতর্কিত বইটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিতে লিপ্ত দেশী-বিদেশী চক্রানত্মকারীদের হাতে বিভ্রানত্মি ছড়াবার নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলেও নেতৃবৃন্দ আশংকা প্রকাশ করেন৷

বিবৃতিতে সাৰরকারি অন্যানরা হলেন, মেজর জেনারেল (অব) কে এম সফিউলস্না বীর উত্তম, মেজর জেনারেল (অব) সি আর দত্ত বীর উত্তম, লে কর্ণেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী, কর্ণেল (অব ) সামসুল আলম, ম হামিদ, মেজর জেনারেল(অব) শাহজাহান, মেজর (অব) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মোহা.নুরুল আলম, আনোয়ারুল আলম শহীদ প্রমুখ৷