gournadi-photo-wazipur-01

দৈনিকবার্তা-গৌরনদী : সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গণে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা সদরসহ সাতলা সড়কের চতলবাড়ি বাজারসহ সংযোগ সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে৷ ফলে উজিরপুর উপজেলা সদরের সাথে ৫টি ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গত এক মাস আগ থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ সমপ্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস সরেজমিনে প্রমত্তা সন্ধ্যা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের বিস্তীর্ণ জনপদ বিলিন হওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন৷ ওই সময় তিনি সংশ্লি্লষ্ট কর্তৃপক্ষকে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন৷ কিন্তু এমপির নির্দেশ কোন কাজেই আসেনি স্থানীয় জনগনের৷ গত দুই দিনে চতলবাড়ী বাজারের সর্বশেষ জমিটুকুও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে৷ উজিরপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে বরাকোঠা ইউনিয়ন৷

এ ইউনিয়নের উপর দিয়ে সাতলা, হারতা, ওটরা, বড়াকোঠা ও উজিরপুর সদর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে৷ স্থানীয় কবির হোসেন খান, আওলাদ আলী, স্বপন কুমার মন্ডল জানান, সমপ্রতি সন্ধ্যা নদীর জোয়ারের পানিতে অতিরিক্ত চাপে নদী ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে৷ ওই ভাঙ্গনে চতলবাড়ী বাজার, আ. মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চতলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আবু সাঈদ খুদরী জামে মসজিদ, দক্ষিণ নারিকেলী জামে মসজিদ, ডাক ঘর, একটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে৷

সেই সাথে উজিরপুর উপজেলার মানচিত্র থেকে নারিকেলি, সাকরাল, পরমানন্দশাহা তিনটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে৷ উজিরপুর এল.জি.ই.ডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর-সাতলা সড়কের সাকড়াল চতলবাড়ী অংশ নদীতে বিলীন হওয়ায় ২০১৩ সালে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়৷ গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে ওই বিকল্প সড়কটিও সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে৷ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, চতলবাড়ী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য সরকারিভাবে ইতিমধ্যে সংসদ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার জানিয়েছি৷ বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷