index666দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬সেপ্টেম্বর: বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের বিল রোববার সংসদে উঠছে৷জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রোববারে দিনের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷জানা যায়, রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন৷ পরে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষযক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে৷

গত মঙ্গলবার সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪ সংসদ সচিবালয়ে জমা পড়ে৷কোনো বিচারপতির অসদাচরণ বা অসামথর্্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণ আইন করে সংসদ নিয়ন্ত্রণ করার শর্ত সংশোধিত প্রস্তাবে রাখা হয়েছে৷

চলমান সংসদ অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে বলে এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিযেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী৷ গত ১৮ অগাস্ট সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী সংক্রান্ত বিল মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়৷এর পরপরই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সংসদের চলমান অধিবেশনে বিলটি পাসের সম্ভাবনা রয়েছে৷

অবশ্য বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়ার প্রস্তাবে বিরোধিতা করে আসছে নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি৷দলটি বলছে, একদলীয় শাসন পোক্ত করতে আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করছে৷

বর্তমান সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টিও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে৷ ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় উচ্চ আদালতের বিচারকদের পদের মেয়াদ নির্ধারণ ও তাদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল৷ ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়৷

চতুর্থ সংশোধনী বাতিল হলে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের আমলে এক সামরিক আদেশে বিচারপতিদের অভিশংসনের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়৷২০১১ সালে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর সময়ে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া নিয়ে আলোচনা ওঠে৷ যদিও তখন সেটি করা হয়নি৷

পরে ২০১২ সালে তত্‍কালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে কয়েকজন সংসদ সদস্য হাই কোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি তোলেন৷মূলত সে সময়েই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়৷

এদিকে, বিচারপতি অভিশংসন বিষয়ক প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন খসড়াটি মুক্ত আলোচনা করে চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়াচ সোসাইটি৷সংবিধান সংশোধনের আগেই বিচারপতি নিয়োগ বিধিমালা করার জন্য দাবি জানায় সংগঠনটি৷শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা৷সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী লুত্‍ফর রহমান, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শেখ তরিকুল ইসলাম, আইনজীবী মোকাররম হোসেন প্রমুখ৷

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন জাগো বাংলাদেশের সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খান৷বিচারপতিসহ উক্ত পদমর্যাদার ব্যক্তিগণ যাতে নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে বিচার কার্যক্রমসহ তাদের ওপর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে পারেন এ জন্য বিধিমালা করার দাবি লুত্‍ফর রহমানের৷ লুত্‍ফর রহমান বলেন, বিচারপতিদের নিয়োগ ও আচরণ বিধিমালা অবিলম্বে প্রণয়ন করে আইন সংবিধান সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করতে হবে৷ আর তা না করলে সাংবিধানিক শুন্যতা ও আইনগত জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের বিল রোববার সংসদে উঠছে৷জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রোববারে দিনের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷জানা যায়, রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন৷ পরে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষযক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে৷

গত মঙ্গলবার সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪ সংসদ সচিবালয়ে জমা পড়ে৷কোনো বিচারপতির অসদাচরণ বা অসামথর্্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণ আইন করে সংসদ নিয়ন্ত্রণ করার শর্ত সংশোধিত প্রস্তাবে রাখা হয়েছে৷

চলমান সংসদ অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে বলে এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিযেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী৷ গত ১৮ অগাস্ট সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী সংক্রান্ত বিল মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়৷এর পরপরই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সংসদের চলমান অধিবেশনে বিলটি পাসের সম্ভাবনা রয়েছে৷

অবশ্য বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়ার প্রস্তাবে বিরোধিতা করে আসছে নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি৷দলটি বলছে, একদলীয় শাসন পোক্ত করতে আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করছে৷

বর্তমান সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টিও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে৷ ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় উচ্চ আদালতের বিচারকদের পদের মেয়াদ নির্ধারণ ও তাদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল৷ ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়৷

চতুর্থ সংশোধনী বাতিল হলে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের আমলে এক সামরিক আদেশে বিচারপতিদের অভিশংসনের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়৷২০১১ সালে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর সময়ে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া নিয়ে আলোচনা ওঠে৷ যদিও তখন সেটি করা হয়নি৷

পরে ২০১২ সালে তত্‍কালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে কয়েকজন সংসদ সদস্য হাই কোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি তোলেন৷মূলত সে সময়েই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়৷

এদিকে, বিচারপতি অভিশংসন বিষয়ক প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন খসড়াটি মুক্ত আলোচনা করে চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়াচ সোসাইটি৷সংবিধান সংশোধনের আগেই বিচারপতি নিয়োগ বিধিমালা করার জন্য দাবি জানায় সংগঠনটি৷শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা৷সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী লুত্‍ফর রহমান, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শেখ তরিকুল ইসলাম, আইনজীবী মোকাররম হোসেন প্রমুখ৷

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন জাগো বাংলাদেশের সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খান৷বিচারপতিসহ উক্ত পদমর্যাদার ব্যক্তিগণ যাতে নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে বিচার কার্যক্রমসহ তাদের ওপর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে পারেন এ জন্য বিধিমালা করার দাবি লুত্‍ফর রহমানের৷ লুত্‍ফর রহমান বলেন, বিচারপতিদের নিয়োগ ও আচরণ বিধিমালা অবিলম্বে প্রণয়ন করে আইন সংবিধান সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করতে হবে৷ আর তা না করলে সাংবিধানিক শুন্যতা ও আইনগত জটিলতা দেখা দিতে পারে৷