M K Anowarদৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬সেপ্টেম্বর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, এ কে খন্দকার গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন৷এ কারণে সংসদ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে গালিগালাজ শুরু হয়েছে৷ দেশদ্রোহীর অভিযোগে বিচারের কথা বলা হচ্ছে৷শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এম কে আনোয়ার এ কথা বলেন৷ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল ওই আলোচনার আয়োজন করে৷

এম কে আনোয়ার বলেন,এ কে খন্দকার তাঁর বইয়ে গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন কীভাবে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান৷শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, তা কোথাও এ কে খন্দকার পাননি৷

ভেতরে বাইরে’ বইটিতে সত্য কথা বলে আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়ায় মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান এ কে খন্দকারকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার৷ তিনি বলেন, এরআগে তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে একটি বই লেখায় আওয়ামী লীগের নেতারা মৃদু প্রতিবাদ করেছিলেন৷আর এবার এ কে খন্দকার যখন গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন, সত্য কথা বলে তাদের (আওয়ামী লীগ) মুখোশ উন্মোচন করেছেন তখন তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হয়েছে৷

এ মকে আনোয়ার বলেন, দেশে কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকার নাই৷ একটি সন্ত্রাসী দল আছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, টেন্ডাবাজি যাদের একমাত্র কাজ৷এ কে খন্দকারকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে সংসদে সরকারি দলের বক্তব্যের সমালোচনা করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস লেখার জন্য যদি কারো বিচার করতে হয় তাহলে সেটা জনগণ করবে৷ আপনাদের বিচার করার কোনো ক্ষমতা নাই৷

তিনি বলেন, এ কে খন্দকার সত্য কথা বলেছেন৷ গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, কিভাবে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন৷ শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি সেই বিষয় তুলে ধরেছেন৷ এছাড়া শেখ মুজিব তার ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছিলেন তাও উল্লেখ করেছেন৷

সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমান তার লেখা বইতে জয় পাকিস্তান লিখেছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, পরে তা সংশোধন করা হয়৷ মুক্তিযুদ্ধের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো প্রস্তুতি ছিল না৷ তিনি ৭ মার্চ বক্তৃতা শেষ করেছিলেন জয় পাকিস্তান বলে৷হাবিবুর রহমানের বইয়ের প্রথম সংস্করণেও এই কথাটি উল্লেখ ছিল বলে এম কে আনোয়ার দাবি করেন৷

নবম সংসদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য ও তত্‍কালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের লেখা ১৯৭১: েতেরে বাইরে বইটির কিছু অংশ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে৷ বিএনপি নেতারা সভা-সমাবেশে বইটির কোনো কোনো অংশ উদ্ধৃত করে বক্তব্য দিচ্ছেন৷বইটিতে এ কে খন্দকার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছেন৷

তিনি বলেন,বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মকর্তাদের অপহরণ করা হচ্ছে৷দেশে এক সঙ্কটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য দেশের জনগণ এখন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে৷জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি৷ বিএনপির এই নেতা বলেন, মানুষ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে৷ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু একটি মামলাতেও সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি৷

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ,শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ৷