imitation

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর: মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় এলাকায় ব্রোঞ্জ ও পিতলের তৈরি ইমিটেশন গহনা ২ হাজার শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছে। শতাধিক বছর পূর্ব জলিরপাড়ের বাকচী বাড়ি ও বৈদ্যবাড়ির কয়েকজন কারিগর পিতল ও দস্তার সংমিশ্রণে শংকর ধাতু ব্রোঞ্জ দিয়ে পুরুষ ও মহিলাদের বাহারি ডিজাইনের গহনা তৈরি করেন। এসবের মধ্যে হাতের আংটি, চুড়ি, কানের দুল, নাকফুল, কবচ, মাদলী, নুপুর, হাতের বাজু, চেইন, ক্লিপ, ঝুমকা, চুলের কাটা উল্লেখযোগ্য।
পর্যায়ক্রমে বনগ্রাম, গোয়ালগ্রাম, আচাড়পাড়া, শান্তিপুর এলাকার কারিগররা ইমিটেশন গহনা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। জলিরপাড়ে একটি ইমিটেশন গহনার মার্কেট রয়েছে। এখান থেকে ঢাকার চকবাজার, সিলেট, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, পার্বতীপুর, রংপুর, সৈয়দপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ সারাদেশের পাইকার ও ফেরিওয়ালারা ইমিটেশন গহনা সংগ্রহ করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীগণ জানান, প্রতিদিন পালিশবিহীন ৫-৬ মণ গহনা বিক্রি হচ্ছে। ইমিটেশন গহনার পাশপাশি তৈরি হচ্ছে ঝিনুকের মালা, দুল ও ক্লিপ প্রভৃতি। ইমিটেশনের গহনাগুলো বেশিরভাগ নারী শ্রমিকরাই তৈরি করেন। শিল্প বাজারে ইমিটেশন কাজে মূলত ৩টি গ্রুপ কাজ করে। এক গ্রুপ হাত মেশিনে দস্তার তৈরি পাত কেটে বিভিন্ন দ্রব্যাদি তৈরি করে। অন্য গ্রুপ সরাসরি ক্রয় করে ইমিটেশন দ্রব্য। বাকি গ্রুপটি মালামাল নিকেল করে বাজারজাত করে। জলিরপাড়ের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, তাদের মালের চাহিদা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও রয়েছে। ভারত হতে চোরাই পথে নিয়মিত গহনা আসার ফলে স্থানীয়ভাবে তৈরি গহনার চাহিদা একটু হ্রাস পেতে চলেছে।
কারিগর ও জলিরপাড়ের ইমিটেশন মার্কেটের গহনা বিক্রেতা প্রদীপ বাক্চী জানান, ইমিটেশনের গহনা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।