mujibur-hoq-300x206

দৈনিকবার্তা, ডেস্ক রিপোর্ট: রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক তার নিঃসঙ্গ জীবনের ইতি টানছেন। এ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই একটি প্রশ্ন সবার মধ্যে উঁকি দিয়েছে- তা হলো কনে দেখতে কেমন? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চলছে ব্যাপক তোলপাড়।

শুক্রবার দুপুর ২টা ১ মিনিটে সৌদি আরব প্রবাসী আকাশ রহমান (Akash Rahman) নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এক নারীর ছবি দিয়ে স্ট্যাটাসে আঞ্চলিক ভাষায় লিখেছেন… ‘ইতার নছিব ভালারে বা তাইনে বাক্কা ডকের পুরি পাইলান। কইন্নার ডক ভালা রে বা। দাম্পত্য জীবন সুখী হইবার লাগি সারায় মিলিয়া দোআ করবায়।’ এ থেকে সবাই মনে করছেন এই নারীই রেলমন্ত্রীর হবু স্ত্রী।

তাই এই ছবির সত্যতা কতটুকু, জানতে আকাশ রহমানের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। এ ব্যাপারে কনের ভাই আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন, ফেসবুকে অনেকেই অনেক রকম স্ট্যাটাস দিচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন। এজন্য আপত্তিকর কিছু করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গত কয়েক দিন ধরেই রেলমন্ত্রীকে জড়িয়ে এমন অনেক ছবিই ফেসবুকের একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হচ্ছে। তবে এই ছবিগুলোর সত্যতা কতটুকু তা এখনো পর্যন্ত কেউই প্রমাণ করতে পারেনি।

হবু স্ত্রী সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার নম্র, ভদ্র এবং সুশিক্ষিত পাত্রীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে পাত্রীর নাম ও বয়সের ব্যাপারে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, পাত্রীর সঙ্গে তার ৩ বছর ধরে পরিচয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই হচ্ছে পরিণয়।

কিন্তু একটি প্রশ্ন এখন পর্যন্ত থেকেই গেল, কনে দেখতে কেমন? তাই কনের একটি ছবি পাওয়ার জন্য কনের কাছের অত্মীয়স্বজন, স্কুল-কলেজে যোগাযোগ করা হলেও ছবি সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন সাংবাদিকরা।

জানা যায়, রেলমন্ত্রীর জীবনসঙ্গী হতে যাচ্ছেন হনুফা আক্তার রিক্তা। তিনি মীরাখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুন্সীবাড়ির মেয়ে। বাবা মৃত আবদুল হামিদ উল্লাহ্ মুন্সী। দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে রিক্তা সবার ছোট। তিনি ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি এলএলবি সম্পন্ন করেন।

কনের বড় ভাই নাছির উদ্দিন মুন্সী দুবাই-প্রবাসী। ছোট ভাই আলাউদ্দিন মুন্সী সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে দেশে এসেছেন। বড় বোন শাহানারা আক্তার গৃহিণী, বিয়ে হয়েছে চান্দিনার গল্লাই মুন্সীবাড়িতে। তার স্বামী পুলিশে চাকরি করেন। মেজো বোন হাজেরা আক্তার গৃহিণী, বিয়ে হয়েছে একই গ্রাম মীরাখোলায়। তার স্বামী সম্ভ্রান্ত গৃহস্থ। সেজো বোন শিরিন আক্তার। বিয়ে হয়েছে বুড়িচং উপজেলার কাবিলা গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। চতুর্থ বোন মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নবাবপুর গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে।