আমির-হোসেন-আমু

দৈনিকবার্তা-ঢাকা-১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ : নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব ট্যানারি মালিক সাভারের ট্যানারি পল্লীতে কারখানা স্থানান্তরে ব্যর্থ হবে তাদের প্লট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু৷ বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্যানারি শিল্প স্থানানত্মর সংক্রানত্ম এক পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়৷এ সভায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সভাপতিত্ব করেন৷ পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিশেষ আমন্ত্রণে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ সভায় হাজারিবাগ থেকে সাভারের চামড়া শিল্পনগরিতে ট্যানারি স্থানানত্মর, নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি), ডাম্পিং ইয়ার্ড প্রভৃতি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়৷

আমির হোসেন আমু বলেন, ট্যানারি স্থানান্তরে আমাদের সরকার পক্ষের অগ্রগতি চূড়ান্ত৷ এখনও পর্যন্ত শিল্প কারখানা স্থানান্তরে যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট৷ তবে মালিকদের মধ্যে কিছু ব্যত্যয় হয়েছ৷ আগামী মার্চে ইটিপি নির্মাণ কাজ শেষ হলে উত্‍পাদনে যেতে সেখানে কারখানা থাকা প্রয়োজন৷ চলতি মাসে কারখানা স্থানান্তরে অবকাঠামো নির্মাণের সময়সীমা শেষ হচ্ছে৷তিনি আরও বলেন, সেখানে আগামী মার্চের মধ্যে কারখানাগুলোর উত্‍পাদন শুরুর উদ্যোগ প্রয়োজন তা মালিকরা এখনও নেননি৷ যারা এ কাজে ব্যর্থ হবেন তাদের প্লট নতুন উদ্যোক্তা, দেশি বিদেশি যৌথ মালিকদের দেওয়া হবে৷ আমাদের হাতে অনেক বিকল্প উপায় আছে৷ আমরা চাই যাদের নিয়ে এ কাজ শুরু করেছি তারাই এটা শেষ করুক৷ তবে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে সেখানে মালিকরা গুরুত্ব না দিলে আমাদের বিকল্প পথে যেতেই হবে৷

সরকার সাভার চামড়া শিল্পনগরিতে অবকাঠামো নির্মাণের ১ম কিসত্মির টাকা চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিশোধ করবে৷যতদ্রুত সম্ভব রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি কারখানা সাভার চামড়া শিল্পনগরিতে স্থানানত্মরের লক্ষ্যে সরকার ট্যানারি শিল্প মালিকদের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূর দেয়ার ঘোষণা দেয়৷

সরকারি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে সাভার চামড়া শিল্প এলাকায় বরাদ্দকৃত প্লটে যেসকল ট্যানারি মালিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন চলতি মাসের মধ্যে তাদের আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণের ১ম কিসত্মির টাকা পরিশোধ করা হবে৷

সভার পর শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্যানারি স্থানানত্মরে যারা ব্যর্থ হবে, সরকার তাদের পস্নট বাতিল করতে বাধ্য হবে এবং বাতিলকৃত প্লট নতুন উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেবে৷তিনি নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে যততাড়াতাড়ি সম্ভব হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি কারখানা স্থানানত্মরের জন্য শিল্প মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷

শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, পরিবেশ ও বন সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিসিক’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ বিসিক, পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বুয়েট, ঢাকা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার, লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুট ওয়্যার এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরের প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ গ্রহন করেন৷সভায় সিইটিপির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও ট্যানারি স্থানানত্মরের বিষয়ে বিসত্মারিত আলোচনা হয়৷নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এ সভায় জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিইটিপি নির্মাণ শেষ হবে৷

এছাড়াও উদ্যোক্তাদের পৰ থেকে ট্যানারি স্থানানত্মরের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের দাবি জানানো হরে বিষয়টি শিল্প মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভূক্ত নয় বলে শিল্পমন্ত্রী তা নাকোচ করে দেন৷ তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদের মত ট্যানারি মালিকরাও একই ধরণের সুবিধা পাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন৷