Khandokar Mosarof Hosain

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর:  প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের ৯০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ থেকে রক্ষা পেয়েছে৷তিনি বলেন, প্রবাসীরা স্বপ্রনোদিত হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে বলেই বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারেনি ৷প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইস্কাটনের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী ১১ জন বাংলাদেশির হাতে সিআইপি (কর্মাশিয়াল ইমর্পোটেন্ট পারসন) সনদপত্র ও কার্ড তুলে দেওয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন৷

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার,প্ রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি এম কয়েস সামী, যুগ্ম সচিব হযরত আলী, উপ সচিব বদিয়ার রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২০১৩ সালের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে ১০ জন এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে একজন প্রবাসী বাংলাদেশীকে কর্মাশিয়াল ইমর্পটেন্ট পারসন হিসেবে নির্বাচিত করে৷ ৫৫ জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে এই ১১ জনকে আজ সিআইপি সনদ দেয়া হয়৷২০১৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে সিআইপি মর্যাদা পাওয়া ১০ প্রবাসী হলেন- চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের মো. সামসুল আলম নওয়াব (কাতার ), চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আদনান ইমাম (লন্ডন), আবুল কালাম আজাদ (ওমান), সন্দ্বীপের মো. রফিকুল ইসলাম (কাতার), কাজী সফিকুল ইসলাম (ওমান), মুহাম্মদ আবুল কালাম (আরব আমিরাত), কুমিলস্নার আবুল কালাম (সংযুক্ত আরব আমিরাত), ঢাকার মোহাম্মদ আলী তালুকদার (লন্ডন), সিলেটের মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান (আরব আমিরাত) ও পাবনার কাতার প্রবাসী আব্দুল আজিজ খান৷

বাংলাদেশী পণ্যের আমদানিকারক হিসেবে সিআইপি কার্ড পান রাশিয়া প্রবাসী মো. ফিরোজ উল আলম৷ তার পক্ষে তার শ্যালক এসএম আশফাকুল ইসলাম সিআইপি কার্ড গ্রহণ করেন৷

বাঙালীরা কর্মদক্ষতা ,যোগ্যতা ও কর্মস্পৃহা নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙা করেছে মনত্মব্য করে প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, অথনৈতিক মন্দার মধ্যেও প্রতিবছর বিশ্বের ১৭০ টা দেশে ৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হচ্ছে৷সিআইপিদের দেশের সূর্যসনত্মান উল্লেখ করে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন ,সিআইপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল৷ আপনারা নিজেদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে প্রবাসী বাঙালিদের উন্নয়নে কাজ করবেন৷ মন্ত্রী প্রবাসীদের আরো বেশী বেশী করে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানান৷ তিনি বলেন আগামী বছর ১১ জন থেকে বাড়িয়ে ২৫ জনকে সিআইপি পুরষ্কার দেওয়া হবে৷

যারা স্বীকৃতি পেয়েছেন তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একক ও মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে, খোন্দকার শওকত হোসেন বলেন, সিআইপি ব্যক্তিদের এ অর্জন প্রতিযোগিতামূলক বর্তমান বিশ্বে সহজসাধ্য ছিল না৷ তাদের কর্মদৰতাই এ স্বীকৃতি দিয়েছে৷সিআইপি সনদপ্রাপ্ত লন্ডনপ্রবাসী মো. আদনান ইমাম এ উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশে গার্মেন্টস সেক্টরের পরই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে৷ এতে অনেক বেশী কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে৷ তিনি এ খাতকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান৷মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ ও বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করার জন্য সেরা ১১ জন প্রবাসীকে প্রতিবছর সিআইপি মর্যাদা দেয় সরকার৷ সিআইপিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সরকার দ্বারা নিয়োজিত সংশিস্নষ্ট বিষয়ক নীতি-নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অনর্ত্মভ’ক্ত হতে পারবেন৷

এছাড়াও সিআইপি ব্যক্তিরা দেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ফরেন প্রাইভেট ইনভেসমেন্ট( প্রোমোশন এন্ড প্রটেকশন)অ্যাক্ট, ১৯৮০এর ১১ ধারার বিধান অনুসারে সংরক্ষণ করা হবে৷

 

Go to Feedback