লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২অক্টোবর : পূজা ও ঈদের ছুটিতে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠা ঠেকাতে পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি৷ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান৷মন্ত্রী জানান, বৈঠক থেকে স্পর্শকাতর মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সর্বোচ্চ ১৩৫ দিনের মধ্যে এ মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে৷ দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলা জট কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোও জটিলতা না থাকলে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

এ ছাড়া বৈঠকে মোবাইলে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি যাচাই-বাছাইয়ের পরই সিম অ্যাক্টিভেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷স্পর্শকাতর মামলাগুলো ১৩৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ তবে নির্দেশনার পরও ১৩৫ দিনের মধ্যে যদি মামলাগুলোর নিষ্পত্তি না হয় তবে আরও ১৩৫ দিন সময় বেঁধে দেয়ার কথা জানিয়েছেন আমির হোসেন আমু৷তিনি বলেন, ইতোপূর্বে নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, লক্ষীপুর ও মিরপুরের ঘটনার মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে এবং সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷’সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী৷

এছাড়া, মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজির বিস্তৃতি ঘটেছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ মোবাইল কেম্পানিগুলোকেও সিম বিক্রির ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে বরা হয়েছে৷মন্ত্রী জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ ও স্টিমারগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করতে পারে সেজন্য ঘাটগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে৷

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধের পদক্ষেপে বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে৷ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি বন্ধে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে- ভুয়া নম্বর যেন না দেওয়া হয়৷মন্ত্রী বলেন, আর নিবন্ধন ছাড়া কোনো নম্বরও যেন না দেওয়া হয়৷ যদি দেওয়া হয়, তাহলে মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷বৈঠকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন৷