cowhide

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী , ২ অক্টোবর : এবারও নীলফামারীসহ রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কোরবানী পশুর চামড়া পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট৷ এরই মধ্যে চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষন ও পাচারের সব আয়োজন প্রায় সম্পূর্ন৷ আর একাজে বিনাসুদে লগি্ন করা হয়েছে টাকা৷ নিয়োগ করা হচ্ছে গরু ও মৌসুমী ব্যবসায়ী, কসাই ছাড়াও শত-শত দালাল৷ তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নগদ লাখ লাখ টাকা৷

সূত্র জানায়, দেশের বাজারে চামড়ার দরপতন, চড়াসুদে ব্যাংক থেকে টাকা পেতে নানান ঝুটঝামেলা, চামড়া দিয়ে আড়ত্‍দার কাছ থেকে টাকা তুলতে জুতো ক্ষয় অবস্থাকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সীমান্তের ওপারের চামড়া শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা৷ প্রতি বছরের মতো এবারও ওই সিন্ডিকেট তাদের এদেশীয় আত্নীয়-স্বজনদের মাধ্যমে আগাম লগি্ন করছে কোটি কোটি টাকা৷ সূত্র জানায়, নীলফামারী সদর, ডোমার ও সৈয়দপুর উপজেলা সদরের বেশকিছু ব্যাবসায়ী সরাসরি এ কারবারের সাথে জড়িত রয়েছে৷ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিন দিন বাড়ছে চামড়া ব্যবসায়ী, কসাই আরা দালালের ভিড়৷ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রকাশ্যেই দালাল নিয়োগ করেছেন চামড়া ক্রয়ের জন্য৷

সূত্র জানায়, নীলফামারী ছাড়াও পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের জন্য প্রন্তত শত শত দালাল সিন্ডিকেট৷ চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষন ও পাচারের জন্য সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে চামড়া সংরক্ষন আড়ত্‍৷ নীলফামারীর কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী, দালাল, কসাই ও চামড়া ব্যবসায়ী জানান, নীলফামারীসহ এই অঞ্চলের কোরবানিকৃত পশুর প্রায় ৬০ ভাগ চামড়াই হাতগলিয়ে সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে চলে যাবে ওপারে৷ দেশীয় বাজারের চেয়ে ওপারের বাজার দর বেশী ও সুদছাড়া মোটা অংকের আগাম পুঁজি প্রাপ্তিই উত্‍সাহিত করছে চামড়া পাচারে বলে অনেক চামড়া ব্যবসায়ী মনে করছেন৷

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ভারতীয় বিভিন্ন মসলায় ছেয়ে গেছে এখানকার হাটবাজার৷ উপজেলা সদর সৈয়দপুরে বিশাল মজুদ গড়ে উঠছে চোরা পথে আসা মসলার৷ নিম্নমানের এসব মসলা স্থানীয় গরম্নর হাটগুলিতে অনেকটা সসত্মা দরেই বিক্রি হচ্ছে৷ অপরদিকে ডোমার উপজেলার চিলাহাটী, কেতকীবাড়ী, মুক্তিরহাট, ডিমলার ডাঙ্গারহাট, ঠাংঝাড়া তিস্তা সীমান্ত এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, চামড়া চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ১শ’ ৫শ’ ও ১ হাজার টাকার নতুন চকচকে জাল টাকা আসছে দেশের অভ্যন্তরে৷ গরুর হাটগুলিকে মাথায় রেখে জাল টাকা লেনদেন বেড়ে গেছে এলাকায়৷ সূত্র জানায়, সীমান্ত সংলগ্ন হাট-বাজারগুলিতে আসা পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের টারগেট করে বিভিন্ন পন্থায় এ টাকা বাজারে ছাড়া হচ্ছে৷ পুলিশি তত্‍পরতার কারণে তারাও কৌশল পাল্টাচ্ছেন বলে জানা গেছে৷