ইবোলা প্রাদুর্ভাবে

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৮অক্টোবর : দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অদক্ষ কর্মীদের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবি্লউএইচও) আফ্রিকায় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে৷বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাঁস হওয়া এক প্রতিবেদন সূত্রে শুক্রবার রাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি৷ প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা দেয়ালের পরিষ্কার সরল লেখাগুলো দেখতে ব্যর্থ হয়েছেন৷এছাড়া ইবোলা প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে বেশ কিছু ব্যর্থতার ঘটনাও ঘটেছে বলে আলাদাভাবে স্বীকার করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র৷

ফাঁসকৃত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডবি্লউএইচও মার্চে গিনি থেকে প্রথম ইবোলা সংক্রমণের প্রতিবেদন পেয়েছিল৷ কিন্তু প্রতিবেদন পাওয়ার কয়েকমাস পর এটি প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় নামে সংস্থাটি৷এপ্রিলে চিকিত্‍সা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছিল৷ কিন্তু ওই সময় এমএসএফ’র এই সতর্কতার সঙ্গে দ্বিমত করেছিল ডবি্লউএইচও৷ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাদুর্ভাবটি প্রতিরোধ করার কাজে নিয়োজিত প্রায় সবাই দেয়ালের সরল লিখনগুলো দেখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন৷

প্রাদুভার্বের সময় চিত্র দেয়া খসড়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অরক্ষিত সীমান্ত ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দেশগুলোতে (গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া) স্থানীয়ভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে সংক্রামক রোগ ঠেকানোর ব্যবস্থা কাজ করবে না, এটি বিশেষজ্ঞাদের বোঝা উচিত ছিল৷ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইবোলা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডবি্লউএইচও’র মাঠ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা যে সব ব্যর্থতার নজির রেখেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: ডবি্লউএইচও’র মাঠ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা জেনেভায় প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে ইবোলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন৷আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় গিনিয়ার ইবোলা প্রতিরোধে পাঠানো পাঁচ লাখ ডলার ঠিক সময়ে না পৌঁছানো৷ভিসার ব্যবস্থা করতে না পারায় উপদ্রুত এলাকায় চিকিত্‍সকরা যেতে পারনেনি, ইত্যাদি৷

প্রকাশিত এসব অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, ডবি্লউএইচও’র গ্লোবাল রেসপন্স ও এলার্ট’র প্রধান ইসাবেলে নুট্টাল বিবিসিকে বলেছেন, তদন্ত করার সময় হয়েছে৷ডবি্লউএইচও’র তথ্যমতে, মারাত্মক ইবোলা সংক্রমণে আক্রান্ত দেশ লাইবেরিয়া, গিনি ও সিয়েরা লিওনে রোগটিতে এ পর্যন্ত ৯,১৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে ৪,৫৪৬ জন মারা গেছেন৷