index

দৈনিকবার্তা-নাটোর,২০অক্টোবর: নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি ভয়াবহ সংঘর্ষে ৩৫ জন নিহত ও অর্ধশত আহত হয়েছে৷ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী কোচ কেয়া পরিবহন ও নাটোর থেকে নাটোরের গুরুদাসপুরগামী যাত্রীবাহী লোকাল বাস অথৈ পরিবহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ আহতদের চিকিত্‍সার জন্যে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ প্রতক্ষদশর্ী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাস দুটির মধ্যে কেয়া পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল এবং অন্যটি নাটোর থেকে গুরুদাসপুরগামী অথৈ পরিবহনের বাস ছিল৷

বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকোমল এই প্রতিবেদককে বলেন, তাঁরা অন্তত ৩২টি লাশ হাইওয়ে থানায় পাঠিয়েছেন৷ আর আহত যাত্রীদের বনপাড়া আমেনা হাসপাতাল, পাটোয়ারী হাসপাতাল ও নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷এদিকে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ দুর্ঘটনা তদন্তে নাটোরের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হূেয়ছে৷ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ও বিআরটিএর সহকারী পরিচালক৷কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে৷ বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়৷

নাটোর ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশর্ীরা জানায়,বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম মোড়ের আগে রেজুর মোড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী কোচ কেয়া পরিবহন একই দিক থেকে আসা অপর একটি ট্রাক কে ওভারটেক করার সময় নাটোর থেকে গুরুদাসপুরগামী যাত্রীবাহী লোকাল বাস অথৈ পরিবহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ কেয়া পরিবহন বাসের পিছনে প্রাইভেটকার নিয়ে আসা বড়াইগ্রামের ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম নয়ন বলেন, এ সময় বিকট শব্দে বাস দুটি মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মহাসড়কের দুই পাশের দুটি গর্তে সিটকে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়৷ ঘটনার সময় রাস্তা ও আশে পাশে আহত ও নিহতরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে৷ এ সময় আহতদের আর্তচিত্‍কার ও দূর্ঘটনার শব্দে শত শত এলাকাবাসী উদ্ধার করতে ছুটে আসে৷ খবর পেয়ে নাটোর, লালপুর ও দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিস ও থানা এবং হাইওয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার তত্‍পরতা শুরু করে৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গাড়ীর চালকসহ ২৮টি লাশ উদ্ধার করে ট্রাকে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ আহতদের মধ্যে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ভর্তি অজ্ঞাত আরো পাঁচজন বিকেলে মারা যায়৷ আহতদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্, বনপাড়ার বেসরকারী আমিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷

এদিকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্‍সক (আরএমও) ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদের ওপর একই দিন সকালে আওয়ামী লীগ নেতাকমর্ীদের হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে থাকা এসব হাসপাতালের চিকিত্‍সকরা প্রশাসনের অনুরোধে তাত্‍ক্ষনিক আহতদের চিকিত্‍সা সেবায় এগিয়ে আসেন৷

ঘটনার পরপরই নাটোর জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার বাসদেব বনিক ও বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একরামুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷নিহতদের মধ্যে তাত্‍ক্ষনিক কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে৷ এরা হলেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন (৪০), তার মেয়ে জান্নাতী (৫), একই উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের আলাল উদ্দিন, সংগ্রাম পুরের আব্দুর রহমানের স্ত্রী আতিকা বেগম, খোকসা গ্রামের কৃষ্ণ পদ সরকার (৫৫), ইন্দ্রাপাড়া গ্রামের জান মোহাম্মদ (৪৮), গুরুদাসপুর উপজেলার সিধুলী গ্রামের এবাদ আলী (৪৫), শরীফ উদ্দিন (৩০) লাবু, (৩৫), আলাল(৫৫), সোহরাব হোসেন, আয়নাল হক (৩৫),সতের আলী প্রামনিকের দুই ছেলে রব্বেল আলী (৪৫) ও আতাহার আলী (৫০), বৃচাপিলা গ্রামের বাবুল (৪০), আব্দুল আওয়াল (৩০), তেলটুপি গ্রামের আবু সাইদের মেয়ে মোহনা খাতুন (৫), এবং অথৈ পরিবহনের চালক আলম হোসেন (৪০)৷ অথৈ পরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে বেশীর ভাগই সিধুলী গ্রামের ডাঃ ইয়ারুল ও আমিরুল ইসলাম জোড়া খুন মামলায় নাটোর কোর্টে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানা গেছে৷ দূর্ঘটনায় অথৈ পরিবহনের বেশীর ভাগ যাত্রীই মারা গেছে৷ নাটোর জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান সন্ধ্যায় বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে ২২টি লাশ উদ্ধার করে বনপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে৷ একই সময়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ভর্তি ২০ জনের মধ্যে পাঁচজন এবং গুরুদাসপুর হাসপাতালে আরো একজনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ র্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত বিভিন্নজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়, এদের অনেকে মারা যান৷ ফলে নিহতের সংখ্যা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা নানা তথ্য দিলে বিভ্রান্তি দেখা দেয়৷

নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বলেন, সবগুলো লাশ বনপাড়া হাইওয়ে থানায় এনে রাখা হয়েছে৷ সেখান থেকে লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ফুয়াদ রুহানী সন্ধ্যায় বলেন, আমার থানায় ২৩টি লাশ ছিল৷ পাঁচটি বাদে বাকিগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ পাঁচটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও চলছে৷ বনপাড়া থানায় যে ২৩টি লাশ ছিল, তার মধ্যে দুজন নারী এবং একটি শিশু রয়েছে৷ বনপাড়া থানার বাইরে নাটোর সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছিল ছয়টি লাশ৷এই দুর্ঘটনায় হতাহত কারও পরিচয় তাত্‍ক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি৷ বেলা সাড়ে ৩টার দিকের এই দুর্ঘটনায় আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ এর মধ্যে চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান৷

বড়াইগ্রাম উপজেলায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে রাজ্জাকের মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে ওসি ফুয়াদ রুহানী জানান৷তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী কেয়া পরিবহন এবং রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জগামী অথৈ পরিবহনের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷” সংঘর্ষে দুটো বাসেরই সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়৷ অথৈ পরিবহনের বাসটি রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে এবং কেয়া পরিবহনের বাসটি রাস্তার পাশের ঢালে পড়ে যায়৷দুর্ঘটনার পরপরই বড়াইগ্রাম থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলেই ২০ জনের মৃতু্য হয়৷ আর বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়ার পর মারা যান আরো তিনজন৷

দুই বাসেরই অধিকাংশ যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন৷ স্থানীয়রা তাত্‍ক্ষণিকভাবে ২০-২৫ জনকে উদ্ধার করে বনপাড়ার আমেনা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান৷ পরে তাদের মধ্য থেকে বিভিন্নজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়৷দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, দুই ঘন্টা পর যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়৷ রাজশাহী বিভাগ, পাবনার ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া যেতে এই মহাসড়ক ব্যবহার করা হয়৷

এদিকে, আইনুল, শহীদুলদের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের সিধুলী গ্রামে৷ সোমবার ভোরে তারা প্রায় ২৫ জন নাটোরে যান মামলার হাজিরা দিতে৷ পরে বাড়ি ফিরছিলেন একসাথেই৷ কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাদের অনেকেরই আর বাড়ি ফেরা হয়নি৷পথিমধ্যে রড়াইগ্রামের রাজ্জাকের মোড়ের বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারান এই গ্রামের হতভাগ্য মানুষগুলো৷ অন্তত ১২ জনের মৃতদেহ এরই মধ্যে পৌঁছেছে সিধুলী গ্রামে৷ বাকিদের অপেক্ষায় গ্রামবাসী৷কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ তবে কাকে কোথায় পাঠানো হয়েছে তা জানে না গ্রামবাসী৷

সিধুলী ধাবাবাড়িষা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায়৷ এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল মতিন মোবাইল ফোনে জানান, এ দুর্ঘটনায় সিধুলী গ্রামের বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে৷ এরমধ্যে ১২জনের মরদেহ এসেছে৷ আমি প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি৷ মামলার হাজিরা দিতে সিধুলীর বাসিন্দারা নাটোর গিয়েছেলেন বলেও জানান আবদুল মতিন৷

সিধুলী গ্রামের একজন ছাত্র মেহেদী ও বাঁধন করে অন্তত চারটি মৃতদেহের কথা নিশ্চিত করেছেন৷ এরা হচ্ছেন জহুরুল, আয়নাল, শহীদুল ও আলম৷

অন্যদিকে, নাটোরের বড়াইড়ুাম উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৷ এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷রাষ্ট্রপতি দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় মর্মানত্মিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ সোমবার এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসনত্মপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুচিকিত্‍সার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিদেশ দেন৷

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী দু’টির বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৫ জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া৷

এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আজ নাটোরের বড়াইগ্রামে দু’টি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৩৩ জন মানুষের প্রাণহানিতে দেশবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে শোকাভিভূত৷ আমি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা করছি তিনি যেন নিহতদের পরিবার পরিজনকে এই বিশাল শোক ও কষ্ট সইবার ক্ষমতা দান করেন৷

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, কেন বারবার সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের জীবনহানি ঘটছে তার সুনির্দিষ্ট কারণ হলো রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি৷ সরকার এসব বিষয়ে কার্যকর ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উদাসীনতার কারণেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার উপেক্ষিত থাকছে৷ বারংবার সড়ক দুর্ঘটনার পূনরাবৃত্তিতে ব্যাপক প্রাণহানিতেও সরকারের টনক নড়ছে না বরং উদাসীনতার জন্য বর্তমানে দেশে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নিশ্চয়তাটুকুও চরম হুমকির মধ্যে নিপতিত৷

বিএনপি চেয়ারপারসন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান৷

অপর এক শোকবার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাটোরের বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী দু’টি বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৩৩ জন মানুষের মর্মান্তিক মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি৷শোক জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও৷