EBOLA_VIRUS

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৯অক্টোবর: ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সংক্রমক রোগ বিষয়ক পরিচালক ডা. রাজেস ভাটিয়া৷নেপালের কাঠমান্ডুতে সংক্রামক রোগ বিষয়ক মিডিয়া কর্মশালার এক অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশ সরকার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সতর্কতা জারিসহ ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশটির গৃহীত পদক্ষেপে সনত্মোষ প্রকাশ করেন৷

রিজনাল মিডিয়া ওয়াকর্স অন ইমারজেন্সি ইনফ্যাঙ্াস ডিজিস’ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রী খাগরাজ অধিকারি৷রাজেস ভাটিয়া বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন৷বেশ কয়েকবার সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচান করেছেন, যা আশাব্যঞ্জক ও উত্‍সাহজনক৷

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইবোলা ভাইরাস সংক্রমকের সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ এই ভাইরাস প্রতিরোধ কাজ করে যাচ্ছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ অফিস এক্ষেত্রে সঠিকভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে৷

ইবোলা ভাইরাস বহনকারী যাত্রী সনাক্তকরণে তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানার আমদানী করে বিভিন্ন বিমান বন্দরে স্থাপন করার বাংলাদেশের উদো্যগকে স্বাগত জানিয়ে ভাটিয়া বলেন, বাংলাদেশ নতুন নতুন সংক্রামক রোগ বিসত্মার প্রতিরোধে সব সময়ে সতর্ক থাকে, এটাই তার প্রমাণ৷ বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইবোলা প্রতিরোধে দক্ষতার সাথেই এগোচ্ছে৷

প্রসঙ্গত, ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ ২৫টি টিম বিভিন্ন বন্দরে কাজ করছে৷ ৩ হাজারের বেশি ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ ইবোলা ভাইরাসে আক্রানত্ম হয়ে এ পর্যনত্ম ৪ হাজার ৯২২ জন মানুষ মারা গেছেন৷ইবোলা প্রথম দেখা দিয়েছিল ১৯৭৬ সালে কঙ্গোতে৷ সাধারণত জীবজন্তুর মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়৷ গত বছর এই রোগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরালিওন, গিনি, লাইবেরিয়ায় ও নাইজেরিয়া ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার লোক আক্রানত্ম হয়৷