obaidul kader

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৫ নভেম্বর: মেট্রোরেল ২০১৯ সালে চালু করা হবে উল্লেখ করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে মেট্রোরেলের বিকল্প নেই৷

বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মেট্রোরেল প্রকল্প কার্যালয়ে মেট্রোরেল প্রেেল্পর কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন৷চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথাও জানান ওবায়দুল কাদের৷তিনি বলেন, সব টেন্ডার ঢাকা ম্যাস র্যা পিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বরেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে৷এর আগে রাজধানীতে যানজট নিরসন ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার গত মেয়াদেই মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়৷ এ বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে পরামর্শক নিয়োগও চূড়ান্ত করা হয়৷আগামী বছর মেট্রো রেল প্রকল্পের আটটি দরপত্র ডাকা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷

বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬ এর পাশাপাশি পূর্বাচল থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন-৭ এর প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবায়নের সুবিধার জন্য পুরো প্রকল্পকে আটটি কনট্রাক্ট প্যাকেজে’ (সিপি) বিভক্ত করে আগামী বছর দরপত্র আহ্বান করা হবে৷এর মধ্যে সিপি-১ ও সিপি-২ এর আওতায় ডিপো উন্নয়ন ও নির্মাণ এবং সিপি-৩, সিপি-৪, সিপি-৫ ও সিপি-৬ এর মাধ্যমে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার লাইন ও ১৬টি স্টেশন নির্মাণের কাজ হবে৷সিপি-৭ ও সিপি-৮ এ হবে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম এর কাজ এবং রোলিং স্টক সংক্রান্ত কাজ৷আগামী বছর জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সব দরপত্র আহ্বান করা হবে এবং ২০১৬ সালের মধ্যে চুক্তি সই হবে৷

কয়েকটি বিদেশি পত্রিকায় এসেছে,জন ম্যাকআসলান’ নামে একটি বিট্রিশ কোম্পানি মেট্রোরেল স্টেশনের নকশা করার কাজ পেয়েছে৷ এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, তারা একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, তবে তাদের সাথে কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি৷মন্ত্রী জানান, মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণের জন্য ২২ হেক্টর জমির মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ দশমিক ৬৯ হেক্টর জমি রাজউক বুঝিয়ে দিয়েছে৷ বাকি জমি বুঝে নেওয়ার কার্যক্রম চলছে৷

বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬ এ ট্রেনের সংখ্যা হবে ২৪ সেট (প্রতি সেটে ৬টি করে কার থাকবে)৷ মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার৷ যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা হবে প্রতি ঘন্টায় উভয় দিক থেকে মোট ৬০ হাজার৷আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী৷মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যার ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জাইকা৷ বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার যোগান দেবে সরকার৷২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) এ প্রকল্প অনুমোদন পায়৷

মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে-উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, তালতলা,আগারগাঁও,বিজয় সরণি,ফার্মগেইট,সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়৷

মন্ত্রী জানান, মেট্রোরেল লাইন-৭ করারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷ পূর্বাচল থেকে বাড্ডা-কমলাপুর হয়ে নারয়ণগঞ্জ পর্যন্ত মোট ৩৫ কিলোমিটার পথ এ লাইনের আওতায় থাকবে৷ এর বাইরে মেট্রোরেলের আরো একটি লাইন করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে৷তবে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়, বলেন মন্ত্রী৷মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন৷