হাসানুল-হক-ইনু

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২নভেম্বর: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হলে জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, দলবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে না৷ তিনি বলেন, এ চার অপশক্তির সাথে একাত্তরের নরঘাতক রাজাকার-আলবদরের কোন পার্থক্য নেই৷ শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ অচিরেই রাজাকারের অভিশাপ ও জঞ্জাল মুক্ত হবে৷ যত বড় শক্তিই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের পক্ষ নেবে বাংলার মাটিতে তাদের রাজনীতি করতে দেয়া হবে৷

বুধবার গণপ্রকৌশল দিবস’১৪ ও ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপেস্নামা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত আব্দুল জব্বার খান স্মারক বক্তৃতা ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷ আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম৷ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক৷ অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও প্রয়াত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে ইসমত হায়াত খান৷ স্বাগত ও সূচনা বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান৷

মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজকার ও জঙ্গীবাদের সঙ্গ ত্যাগ করলে তার সাথে আলোচনার টেবিলে বসে রাজনৈতিক আলাপ হতে পারে৷ মন্ত্রী বলেন, গোবরে পদ্মফুল ফোটে, তবে জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিবাজ, দলবাজি ও সন্ত্রাসের আবর্জনার মাঝে গণতন্ত্রের ফুল ফোটতে পারে না৷ মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেমের প্রেরণা জাগিয়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভিন্নধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ও নাট্য ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান৷

নারী উত্যক্তকারীদের মানবতার প্রধান শত্রম্ন উলেস্নখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, আগে বলা হয়েছে রাজাকার নিপাত যাক৷ এখন বলতে হবে তুই জানোয়ার নিপাত যা৷ তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারী-পুরম্নষ সমানভাবে যুদ্ধ করলেও পুরুষের চেয়ে নারীদের তিনটি লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছেন৷ সর্বৰেত্রে নারীদের সমান অধিকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সম্পত্তিতেও নারীদের সমান অধিকার দিতে হবে৷ জঙ্গী ও জঙ্গীবাদের তোষণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, হাসিনা দেশকে জঙ্গীমুক্ত করেন আর বেগম জিয়া জঙ্গী তোষণ করেন৷ কাজেই হাসিনা ও খালেদাকে একই পালস্না মাপা ঠিক নয়৷ প্রধান অতিথি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইডিইবি কে ধন্যবাদ জানান৷

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক আবুল কাসেম বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পশ্চিমা দুনিয়া গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও ধারণা পাল্টিয়ে দিয়েছে৷ তারা বিশ্বায়নের নামে পক্ষানত্মরে সাম্রাজ্যবাদকে চাপিয়ে দিয়েছে৷ ফলে প্রযুক্তির আবিষ্কার সমষ্টির কল্যাণে নিশ্চিত হতে পারছে না৷ তিনি বিজ্ঞানের কল্যাণে সম্পদ যখনই বৃদ্ধি পায়, তখন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবতাবোধ হারিয়ে যায়৷ ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে৷ বিষয়টি উপলব্ধি নিয়ে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সমন্বয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় চেতনাবোধ জাগ্রত করতে হবে৷
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ফেরদৌসি মজুমদার, কহে বীরাঙ্গনা নাটকের নির্দেশক সুভাশীস সিনহা এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আব্দুর রাজ্জাক, তানভীর মোকাম্মেল, প্রয়াত তারেক মাসুদকে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২-১৩ সালের জন্য আব্দুল জব্বার পদক তুলে দেন৷ পরে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ স্ব স্ব অনুভ্থতি তুলে ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করেন৷