amu-large20141127144837

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮নভেম্বর: প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের জন্য দায়বদ্ধ সমাজ গঠন আহবানের মধ্য দিয়ে বলিভিয়ার তারিজায় আজ গ্রম্নপ-৭৭ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সভা শুরু হয়েছে৷সভায় অংশ নিতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ জি-৭৭ ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর শিল্প, অর্থ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীগণ ইতোমধ্যে তারিজায় পেঁৗছেছেন৷জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় জি-৭৭ এর চেয়ারম্যান বলিভিয়া এবং চীন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করেছে৷ দু’দিন ব্যাপী এ সভা ২৯ নভেম্বর শেষ হবে৷সভায় প্রাকৃতিক সম্পদের সুব্যবস্থাপনা ও টেকসই শিল্পায়ন কৌশল নিয়ে জি-৭৭ ভূক্ত দেশ এবং চীনের প্রতিনিধিরা বিসত্মারিত আলোচনা করবেন৷ এতে তারা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নিজ দেশের অভিজ্ঞতা ও গৃহিত কর্মপন্থা তুলে ধরবেন৷

সভায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে জি-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নীতি ও আইন কাঠামো প্রণয়নের তাগিদ দেবেন৷ এছাড়া, তিনি বিকল্প প্রাকৃতিক সম্পদের উত্‍স খুঁজে বের করার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহারের লক্ষ্যে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানাবেন৷

সভায় প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় ও বেআইনী ব্যবহাররোধে বিদ্যমান আইনের আধুনিকায়ন, নির্বিচারে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, উত্‍পাদন ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধানত্ম ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হবে৷

উল্লেখ্য, জি-৭৭ ভুক্ত দেশগুলোতে প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল ভান্ডার থাকলেও শিল্পায়নে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের বেআইনী ব্যবহারের ফলে জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ ফলে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের তুলনায় জি-৭৭ ভুক্ত দেশগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্রকরণ, উত্‍পাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধিতে পিছিয়ে রয়েছে৷

আনত্মর্জাতিক এ ফোরামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রম্নপ-৭৭ ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা এবং শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে৷ পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোতে প্রযুুক্তি হসত্মানত্মর ও শিল্প কারখানা স্থানানত্মরের সুযোগ বাড়বে৷ সভার অভিজ্ঞতার আলোকে টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদব্যবহারের কার্যকর কর্মসূচি প্রণয়ন ও উদ্যোক্তা সেবা বহুমুখীকরণের কৌশল নির্ধারণ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷