28-12-14-PM_Ministry of Housing And Public Works-6

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর: মন্ত্রিসভা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক একটি বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রসত্মাব অনুমোদন করেছে৷ এর লক্ষ্য হচ্ছে আইটি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা৷এছাড়া মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রাম (এনএসপি) সম্প্রসারণের একটি প্রসত্মাবও অনুমোদন করেছে৷

সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়৷সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করে বলেন, মন্ত্রিসভা ‘ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আইন-২০১৪’-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে৷ এর আওতায় গাজীপুর হাইটেক পার্কে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে৷

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ নিয়ে আলোচনা হয় এবং দেশের প্রথম বিশেষায়িত আইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকণের সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়৷ মোশাররফ হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভার চূড়ানত্ম অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের আগে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদনসহ এ প্রক্রিয়া মন্ত্রিপরিষদ সম্পন্ন করবে৷

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রসত্মাবিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য পদে দেশ-বিদেশের মেধাবী ও দক্ষ ব্যক্তিদের আকর্ষণে আকর্ষণীয় বেতন ও ভাতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷ সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাসত্মবায়ন করবে৷মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, আইসিটি শিক্ষার গুণগত উত্‍কষের্র মাধ্যমে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য৷

এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তবে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে কিছু অতিরিক্ত বিষয় এ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে৷মন্ত্রিপরিষদ আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিলেও কিছু অনুশাসন ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে৷

নামের ব্যাপারে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করা, এর জন্য কিছু পদ্ধতি রয়েছে এজন্য বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমতি লাগে, এ বিষয়টি আইন চূড়ান্ত করার সময় ঠিক করা হবে, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব৷এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা বা গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ আকর্ষণীয় হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব৷

দেশে ও বিদেশে আইসিটি ক্ষেত্রে অসাধারণ মেধাবী ও যোগ্য লোকদের আকৃষ্ট করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় যারা শিক্ষক হবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা দেওয়ার বিধান থাকবে৷ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পযায়ে গুরুত্বপূর্ণ লোককে নিয়ে আসতে পারব৷

তিনি জানান, এখানে টওথাগত শিক্ষার পাশাপাশি দূরশিক্ষণ ও অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় একাডেমিক কাউন্সিলে আইসিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা থাকবেন৷একাডেমিক কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত দুজন আইসিটি শিল্প উদ্যোক্তা থাকবেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন কমিটিতে পরিকল্পনা বিভাগের একজন প্রতিনিধি থাকবে, যাতে তারা প্রকল্পগুলো ঠিকঠাক নিতে পারে৷খুব শিগগিরই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব৷

মোশাররফ হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভা এনএসপি সম্প্রসারণের একটি প্রসত্মাবও অনুমোদন করেছে৷ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের ১৭টি জেলার ১৭টি দরিদ্র উপজেলায় এ কর্মসূচি বাসত্মবায়িত হবে৷ আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে এবং পরবতর্ী দু’বছর এটি অব্যাহত থাকবে৷ এ কর্মসূচির আওতায় ৪২ হাজার ৫শ’ যুবক-যুবতিকে তিন মাসের প্রশিৰণ দেয়া হবে এবং স্বল্প মেয়াদী চাকরি প্রদান করা হবে৷চাকরি পাওয়ার সুবিধার্থে যুবক-যুবতিদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ সালের মার্চে দেশের ৩টি জেলায় তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও স্বল্পমেয়াদী চাকরি প্রদান কর্মসূচি শুরম্ন হয়৷ সে সময় কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলার ১৯টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাসত্মবায়ন করা হয়৷

এর আওতায় মোট ৫৬ হাজার ৮০১ জন যুবক-যুবতিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৪ জন সরকারি চাকরি পেয়েছে৷ এনএসপি’র আওতায় যুবক-যুবতিরা প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে এবং স্বল্পমেয়াদী চাকরিকালে ২০০ টাকা করে পান৷এনএসপি’র দ্বিতীয় পর্যায়ের বাসত্মবায়ন হয় ২০১১-‘১২ অর্থবছরে৷ এ সময় রংপুর বিভাগের ৬টি জেলার ১৪ হাজার ৪৬৭ জন যুবক-যুবতিকে প্রশিৰণ দেয়া হয়৷ তৃতীয় পর্যায়ে ১৭টি জেলার ১৭টি দরিদ্র উপজেলায় এ কর্মসূচি বাসত্মবায়িত হবে৷ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দরিদ্র উপজেলাগুলো বাচাই করা হয়েছে৷

উপজেলাগুলো হচ্ছে- বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ, শরীয়তপুরের গোসাইর হাট, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের নান্দাইল, পিরোজপুরের কাউখালী, চাঁদপুরের হাইমচর, শেরপুর সদর, সাতৰীরার শ্যামনগর, ঝালকাঠির নলছিটি, মাগুরার মোহাম্মদপুর, রাজবাড়ির গোয়ালন্দ, বাগেরহাটের চিতলমারী, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, বান্দরবানের থানচি, নাটোরের সিংড়া, খুলনার তেরখাদা এবং কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ৷