inu_0-16-newsnextbd

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ৩০ ডিসেম্বর: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পাইপের ভেতরে শিশুমৃতু্যর ঘটনায় যদি ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর বিরম্নদ্ধে হত্যা মামলা হয়, তবে শিক্ষিকা হত্যা ও যাত্রী পোড়ানোর উস্কানিদাতা ও জঙ্গি-পৃষ্ঠপোষক বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত৷তিনি মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন৷রাজনৈতিক অপরাধীকেও আইনের আওতায় আনতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা, জিয়ার আমলে কর্ণেল তাহের হত্যা, একুশে আগষ্ট শেখ হাসিনার ওপর গেনেড হামলা, মন্দির-মসজিদ-মঠে অগি্নসংযোগ, মাজার-দরগায় আগুন দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশ দেখেছে৷ এসবই রাজনৈতিক কারণে সংঘটিত জঘন্য অপরাধ৷

বেগম জিয়া রাজনৈতিক কারণে নাশকতা-অনত্মর্ঘাত, চলনত্ম ট্রেনের ফিসপেস্ন্লট খুলে ঘুমনত্ম যাত্রী হত্যা এবং চলনত্ম বাসে আগুনবোমা দিয়ে যাত্রী পোড়ানোর দায় থেকে মুক্তি পাবেন না উলেস্নখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়মুক্তির খারাপ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছে৷এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, অপরাধের বিচার দল দেখে বা মুখ দেখে করা হবে না৷ গণতন্ত্রকে যদি অর্থবহ করতে হয়, তবে দল দেখে, মুখ দেখে অপরাধীকে দায়মুক্তি দেয়ার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পুলিশ এবং গণমাধ্যমসহ সবাইকে কাজ করতে হবে৷

তিনি গণমাধ্যম ও পুলিশ প্রশাসনকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোদ্ধা হিসেবে উলেস্নখ করে বলেন, ক্র্যাব এবং পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টা সমাজকে অপরাধমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে৷ক্র্যাব সভাপতি আখতারম্নজ্জামান লাবলু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বক্তৃতা করেন৷

এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বক্তৃতা করেন৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ আকন্দ সভা পরিচালনা করেন৷ অনুসন্ধানী ক্রাইম রিপোর্ট প্রকাশের জন্য অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের পক্ষ থেকে ৫ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়৷ দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা ট্রিবিউনের মনিরম্নজ্জামান উজ্জ্বল, নারী ও শিশু বিষয়ে আমাদের সময়ের শাহজাহান আকন্দ শুভ, মানবাধিকার বিষয়ে ভোরের কাগজের আসলাম রহমান, মাদকদ্রব্য বিষয়ক অনুসন্ধানের জন্য প্রথম আলো’র কাজী আনিস এবং অপরাধ বিষয়ক টিভি রিপোর্টিংয়ের জন্য এনটিভি’র শফিক শাহীন পুরস্কৃত হন৷