Addresess_NLP---------1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ জানুয়ারি: বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ)এর চেয়ারম্যান এবং সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন,এ দেশ কার বাপের সম্পত্তি যে মানুষ নিষ্পেষিত হবে আর সবার মৌলিক অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হবে? আমরা তা হতে দেব না৷ দেশের ছোট ছোট দলগুলো একত্র হয়ে দুই (হাসিনা ও খালেদা) নেত্রীর হাত থেকে আমরা মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে আনবো৷ তাই ৭ জানুয়ারি আমরা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে জাতীয় ঐক্যজোটের ঘোষণা দিতে যাচ্ছি৷

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ন্যাশনাল লেবার পার্টি (এনএলপি) আয়োজিত ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় ও হত্যা দিবস বিতর্ক: আমাদের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন৷বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) পাটির্র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা৷তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ সব অক্ষমতার মালিক৷ কারণ তাদের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷

নাজমুল হুদা বলেন, সংবিধানে লেখা আছে- জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক৷ কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ কারণ বাংলাদেশের জনগণের হাত থেকে সকল ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ আর সে কারণেই বাংলাদেশের মানুষ এখন সকল অক্ষমতার মালিক৷তিনি অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সব মৌলিক অধিকার থেকে এদেশের মানুষ আজ বঞ্চিত৷ তাদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ তাই এই অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের এখন আন্দোলন করতে হবে৷

নাজমুল হুদা বলেন, আমরা সরকারকে উত্‍খাত করতে চাই না৷ আমরা চাই মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে৷ আর সেই জন্যই দরকার জনগণের আন্দোলন৷এ সময় তিনি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান৷দুই নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুই নেত্রী স্বাথের্র উত্তরাধিকারের স্বপ্ন দেখেন৷ একজন ডিজিটালের মাধ্যমে, আরেকজন আন্দোলনের মাধ্যমে৷ জনগণের স্বার্থ নিয়ে কারো ভাববার সময় নেই৷

আর এ কারণেই বাংলার জনগণ এখন আর তাদের সঙ্গে নেই বলেও দাবি করেন তিনি৷দুই নেত্রী জনগণের কথা ভেবে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে কাজ করলে দেশের করুণ অবস্থা থাকতো না বলেও মত দেন নাজমুল হুদা৷এখন আর চুপ করে বসে থাকার সময় নেই উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে মৌলিক অধিকার আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে হবে৷এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷

৭ জানুয়ারি বিএনএ জাতীয় ঐক্যজোট ঘোষণা করা হবে উল্লেখ করে বিএনএ’র চেয়ারম্যান দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এই জাতীয় জোটের পতাকা তলে আসার জন্য আহ্বান জানান৷

৭ জানুয়ারি জাতীয় ঐক্যজোট ঘোষণা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার আমি একা নই, দেশের ছোট ছোট দলগুলোকে জাতীয় ঐক্যজোটের প্লাটফর্মে নিয়ে এসে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারসহ সব অধিকার ফিরিয়ে আনবো৷ বাংলাদেশকে প্রকৃত মানবাধিকারের দেশ হিসেবে গঠন করবো৷ আলোচনা সভায় এনএলপি’র পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার জনক’ আখ্যায়িত করে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়৷

এসময় তিনি সভায় উপস্থিত এএলডিপি, গণসংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মুসলিম দল, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি ও আয়োজক সংগঠনসহ ১২টি দল এবং দেশে যত ছোট দল আছে সবাইকে জাতীয় ঐক্যেজোটে আসার আহ্বান জানান৷

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ জিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) চেয়ারম্যান মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান সশ্রাট জুয়েল চিশতি, ইনসাফ পাটিূর চেয়ারম্যান শহীদ চৌধুরী প্রমুখ৷