1420215334

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ জানুয়ারি: কোনভাবে প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না ব্যাংকের চেক জালিয়াতির ঘটনা৷ ব্যাংকে কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকদের কষ্টের জমানো কোটি কোটি টাকা৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এ ধরনের বেশ কয়েকটি চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার হলেওএই জালিয়াতি থেমেনেই৷এই চক্রটি চেকের ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টর রিকগনিশন (এমআইসিআর) নম্বর জাল করছে৷ এমন ঘটনার শিকার গ্রাহকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না৷

জাল চেক দিয়ে টাকা উত্তোলনের পর কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরুণ বাবদ পাওয়া অর্থ ভূক্তভোগী গ্রাহকের একাউন্টে জমা করা হচ্ছে৷ তবে বড় জালিয়াতির ঘটনাগুলোর সুরাহা করতে পারছে না কোন ব্যাংকই৷

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে চেক জালিয়াতি রোধে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে৷ এক্ষেত্রে ব্যাংককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ গ্রাহকের স্বাক্ষর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিলিয়ে দেখা, এক লাখ টাকার চেক হলেই গ্রাহককে জিজ্ঞাসা করার বিধান ঐ নির্দেশনায় দেয়া হয়েছে৷ এরপরও যদি জাল চেকে টাকা উত্তোলন হয়, তাহলে ব্যাংককে এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে৷ সংশ্লিষ্ট একাউন্টের গ্রাহক টাকা না তোলার বিষয়ে যদি নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হন, তাহলে ঐ ব্যাংকই এর সমাধান করে দিবে৷

র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ব্যাংকের চেক জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা অনেক শক্তিশালী৷ তাদের সঙ্গে ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে৷ ঐসব অসাধু কর্মকর্তারা এসব চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেয়া টাকার ভাগ পান৷ ব্যাংক থেকে গ্রাহকের তথ্য বাইরে না আসলে এ ধরণের চেক জালিয়াতি সম্ভব নয়৷

সূত্রে জানা গেছে, সামপ্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে চেক জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে গেছে৷ প্রতিমাসে ২০-২৫টি চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্রে (সিআইপিসি) জমা পড়েছে৷ ব্যাংক ব্যবস্থার নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাহকের চেক ইস্যুতে ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টর রিকগিনশন (এমআইসিআর) বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ এরপরও জাল চেকের চক্রকে ঠেকানো যাচ্ছে না৷