High_Court_banglanews24_159421380

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ জানুয়ারি: পিলখানা হত্যা মামলায় দায়ের করাডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ৷এই বিশেষ বেঞ্চের তিন বিচারক হলেন- বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোসত্মফা জামান ইসলাম৷ পিলখানা হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানির জন্য এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি৷ সোমবার শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেয় বিশেষ বেঞ্চ৷

পিলখানা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত ১৫১ জনের জন্য ১৫১টি পেপার বুক লাগবে৷ কিন্তু এ পর্যনত্ম ৩৫টি পেপার বুক প্রস্তুত করা হয়েছে৷ অবশিষ্ট পেপার বুক প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের আদেশ দিয়েছে আদালত৷

সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জনের আইনজীবী দল আসামিপক্ষে শুনানি করবেন৷
পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো.আখতারম্নজ্জামান গত বছরের ৫ নভেম্বর ইতিহাসের কলঙ্কজনক এবং সর্ববৃহত্‍ এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন৷রায়ে ১৫২ জনকে মৃতু্যদন্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (তিন বছর থেকে ১৭ বছর পর্যনত্ম) কারাদন্ড এবং ২৭৮ জনকে খালাস এবং ৪ জন আসামি বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পায়৷

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রম্নয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়৷ এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়৷ পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানানত্মরিত হয়৷

এামলায় সিআইডি দীর্ঘ তদনত্ম শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে৷ পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অনত্মর্ভুক্ত করায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০ জনে৷

এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরম্নদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি৷ পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়৷ দুই মামলার বিচার একইসঙ্গে চলে৷ মামলায় ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছে৷ বিচার চলার সময়ে বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃতু্য হয়৷ মামলায় আসামীদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা তোরাব আলীও রয়েছে৷ তাদের দন্ড হয়েছে৷