market-grocery-shop

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ জানুয়ারি: গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে আরো খানিকটা কমে এসেছে দেশের মূল্যস্ফীতি৷ অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক গত সাত মাস ধরেই নিম্নমুখী৷ডিসেম্বরে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক) মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশে৷

অথর্্যাত্‍, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পণ্য বা সেবা কিনতে ১০০ টাকা খরচ হত; ২০১৪ সালের শেষ মাসে সেই পণ্য বা সেবার জন্য খরচ হয়েছে ১০৬ টাকা ১১ পয়সা৷আগের মাস নভেম্বরে এ হার ৬ দশমিক ২১ শতাংশ ছিল৷ আর সাত মাস আগে জুন মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ৷

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের এক ফাঁকে মূল্যস্ফীতির এই তথ্য প্রকাশ করেন৷মন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে৷বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) ওয়েবসাইটে ডিসেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি৷

ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নভেম্বরের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করার সময় মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেল এবং খাদ্য পণ্যের দাম কমার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে৷ যেহেতু আমাদের অনেক খাদ্য পণ্যই আমদানিনির্ভর৷ সে কারণে বিশ্ব বাজারে খাদ্যপণ্যের দামের নিম্নগতির প্রভাব আমাদের মূল্যস্ফীতিতে পড়েছে৷আগামী মাসগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছিলেন, বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেটা সম্ভব হবে বলেই মনে হচ্ছে৷

২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার এই ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷

বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ৷চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তা কমে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশে নেমে আসে৷অগাস্টে তা আরো কমে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়৷ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ৷ অক্টোবরে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ৷২০০৫-০৬ বছরকে ভিত্তিবছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ তথ্য প্রকাশ করছে বিবিএস৷