MymensinghNursing-College

দৈনিকবার্তা-ময়মনসিংহ, ৭ জানুয়ারি: দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি বন্ধ থাকার পর কলেজে এসেই আবারও আন্দোলনে নেমেছে ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের বিএসসি কোর্সের শিক্ষার্থীরা৷এবার অধ্যক্ষ ও হাউস কিপারের অপসারণের পাশাপাশি বিগত আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বিএসসি নার্সিং কোর্সের ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির প্রতিবাদে এই আন্দোলন করছেন তারা৷

আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে কলেজ ফটকে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা৷

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরের ১৮ অক্টোবর হোস্টেলে সিট বরাদ্দ নিয়ে ঝামেলা হলে হাউস কিপার মিসেস নাজমুন্নাহার বিএসসি কোর্সের তিন ছাত্রীকে মারধর করেন৷ বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে তিনি হাউস কিপারের পক্ষ নেন৷ পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় অধ্যক্ষ ও হাউস কিপারের পদত্যাগ দাবিতে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন তারা৷

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৮ অক্টোবর দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেন এবং দুপুরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন৷ পরে পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা হলত্যাগ না করলে পুলিশ হোস্টেলে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়৷

এ ঘটনার দীর্ঘ দুই মাস আট দিন পর ৪ জানুয়ারি কলেজ খোলার ও ৫ তারিখে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ৷৪ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে জানতে পারেন ওই সময়ে কলেজ অধ্যক্ষ ও হাউজ কিপারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় বিএসসি নার্সিং কোর্সের ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল, হোস্টেলে সিট বরাদ্ধ বাতিল, অন্য কলেজে বদলি, বৃত্তিভাতা বন্ধ ও কঠোর সর্তকতা প্রদান করে কর্তৃপক্ষ৷

শিক্ষার্থীরা আরও জানান,বিএসসি নার্সিং কোর্সের ২৬ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত বাতিলসহ কলেজের অধ্যক্ষ ও হাউস কিপারের অপসারণ দাবিতে পুনরায় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কলেজের মূল ফটকে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি পালন করছেন তারা৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মিসেস মনোয়ারা খাতুন জানান, এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷