14151069-300x191

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ জানুয়ারি: ঔষধ শিল্পকে দেশের রফতানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশে তৈরি ঔষধ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ ইতোমধ্যে ৯০টি দেশে ঔষধ রফতানির জন্য বাংলাদেশ রেজিস্ট্রাড প্রাপ্ত হয়েছে৷ এখন এই সুযোগ কাজে লাগাতে সরকার রফতাকিারকদের নীতিগত ও অবকাঠামোগত সহায়তা দেয়ার কাজ করছে৷

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এশিয়া ফার্মা এঙ্পো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷

সমিতির সভাপতি সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন ও সমিতির মহাসচিব আব্দুল মুক্তাদির বক্তব্য দেন৷

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী রফতানিমূখী নতুন পণ্য উত্‍পাদন এবং নতুন বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ সেই আলোকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ঔষধ, চামড়া, জাহাজ ও আইসিটি পণ্য রফতানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে৷ তিনি দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দেশবাসীকে এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার আহবান জানান৷

ঔষধ রফতানিতে নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অপ্রচলিত রফতানি পণ্য-জাহাজ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে৷ এরই আলোকে সরকার ঔষধ রফতানিতে নগদ সহায়তা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে৷ দেশে উত্‍পাদিত ঔষধের মাধ্যমে বর্তমানে স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ হচেছ বলে তিনি জানান৷

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি সালমান এফ রহমান ঔষধ রফতানিতে নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান৷এবারের মেলায় ঔষধ শিল্প সংক্রানত্ম বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল প্রদর্শিত হচেছ৷

মেলায় ৩০টি দেশ থেকে ৪৫০টিরও বেশি ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানী অংশ নিয়েছে৷ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যনত্ম মেলা খোলা থাকবে৷