index

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ জানুয়ারি: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু তরম্নণ বিজ্ঞানীদের মেধা ও মননশীলতার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আবিস্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন৷তিনি বলেন,’তোমরা জাতির ভবিষ্যত , তোমরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের সৃজনশীল কারিগর৷ মেধা ও মননশীলতার পূর্ণ ব্যবহার করে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমাদেরকে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আবিস্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে হবে৷

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) আয়োজিত বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলা-২০১৫” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন৷

শিল্পমন্ত্রী বলেন,বিশ্বব্যাপী বর্তমানে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বা মেধা ও সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতা চলছে৷ জ্ঞানভিত্তিক পরিশীলিত সমাজ বিনির্মাণের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই৷তিনি বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দূরদশর্ী চিনত্মা-ভাবনার ফসল হিসেবে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি চালু করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন৷ তাঁর আনত্মরিক আগ্রহেই ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷ যে প্রতিষ্ঠান আজ দেশে শিল্পবিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে৷

বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান ডা: এ.কে.এম আছাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম ৷

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান অব্যাহত রেখেছে৷ আমরা তথ্য-প্রযুুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবন-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছি৷তিনি বলেন, সারাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে জোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন মানুষও অনায়াসে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে নিজের ভাগ্যের চাকাকে সচল করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারছে৷

বর্তমানে দেশব্যাপী ই-কমার্স, ই-ম্যানেজম্যান্ট, ই-লার্ণিং, ই-সার্ভিস, ই-গভনর্্যান্স চালু হওয়ায় জনগণের সেবা পাওয়ার অধিকার জোরদার হবার পাশপাশি পণ্য বিপণন ও সেবাদানের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের নতুন নতুন উত্‍স সৃষ্টি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷

মেলার আনুষ্ঠনিক উদ্বোধন শেষে শিল্পমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন ৷উল্লেখ্য, এবারের বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলা আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যনত্ম সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যনত্ম সর্বসাধারণের জন্য উনা্মুক্ত থাকবে৷ মেলায় তিনটি বিভাগে ৫৯টি স্কুল- কলেজ এবং স্বশিক্ষিত বিজ্ঞিান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ১৭০টি স্টল রয়েছে৷