01ধর্মীয় সংগঠনগুলোর আহ্বান উপেক্ষা করে বিশ্ব ইজতেমার মধ্যেও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এর মধ্যেই আন্দোলন আরও জোরদার করার কথা ভাবছে দলটি। আগামী রবিবার ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চাওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি।
ইজতেমার কারণে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর অনুরোধে অবরোধ স্থগিতের গুজব ও জল্পনা-কল্পনা থাকলেও দেশব্যাপী অবরোধ অব্যাহত রাখে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। ১১ জানুয়ারি রবিবার ইজতেমার প্রথম দফার আখেরি মোনাজাতের দিন রাজধানীতে সমাবেশের বিষয়ে প্রশাসনের অনুমতি চাওয়ার পরিকল্পনা করছে ২০ দলীয় জোট। অনুমতি পেলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হতে পারে। কিন্তু সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া হলে আন্দোলন জোরদার করতে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর থেকে হরতালের ডাক দেওয়া হতে পারে। আত্মগোপনে থাকা বিএনপি নেতারাও হরতালের বিষয়ে দলীয় চেয়ারপার্সনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা যদি আখেরি মোনাজাতের দিন সমাবেশের অনুমতি পাই তাহলে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে। ওই নেতা জানান, যদি অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে খালেদা জিয়া আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন এবং সেখান থেকে সরাসরি সমাবেশের ভেন্যুতে যাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির জ্যেষ্ঠ আরেক নেতা জানান, আখেরি মোনাজাতে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মোনাজাতে অংশ নেবেন। এ দিন অর্ধদিবসের জন্য অবরোধ শিথিল করা হতে পারে।
তিনি বলেন,যদি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হয় তাহলে খালেদা জিয়া মোনাজাতে অংশ নেবেন না। কারণ ইজতেমা ময়দান থেকে তাকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন দলীয় কর্মকা- থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি নেতারা বলেন, তাদের বিশ্বাস খালেদার গুলাশান কার্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা খুলে দেওয়া ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ইজতেমায় যোগদান করানোর জন্য সরকারের একটা কৌশল। এর ফলে সরকার খালেদাকে জোরপূর্বক তার বাড়িতে পাঠানোর একটা সুযোগ পাবে। সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি যেকোনও সময় ইজতেমার গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত ঘোষণা করতে পারে।