গেইল

দৈনিকবার্তা-ঢাকা ১২ জানুয়ারি: টি২০ বুঝি তাহলে ক্যারিবীয়দের জন্যই। কিংবা তাদের জন্যই টি২০ সুন্দর। বিশেষণ যাই হোক, ক্রিস গেইলদের ব্যাটিং তাণ্ডবই টি২০কে তুলে দিয়েছে অন্যমাত্রায়। যার আরেকটা প্রমান দেখা গেলো জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে।

স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২৩১ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জও পার করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড তো বটেই। সঙ্গে গেইল আর স্যামুয়েলসের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে মনে হচ্ছিল, এটা লাইভ কোন ম্যাচ নয়, টিভিতে হাইলাইটস দেখানো হচ্ছে।

জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম এমনিতেই ক্রিকেটে ওয়ান্ডার ম্যাচ উপহার দিতে সিদ্ধহস্ত। এই মাঠেই তো অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার সেই অতিমানবীয় ৪৩৪ আর ৪৩৮ রানের ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই মাঠেই টি২০তে দেখা গেলো আরেকটি অসাধারণ ম্যাচ। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি টি২০র ধারক-বাহক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথমটিও গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবার দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিও করেছিলেন গেইল। ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে আবারও ক্যারিবীয় ঝড় এবং সে ঝড়ে উড়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। কিন্তু কে জানতো ফ্যাফ ডু প্লেসিস নামক এক ব্যাটিং দ্বৈত্য রয়েছে প্রোটিয়া দলে! মাত্র ৫৬ বলে ১১৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেললেন তিনি। ১১টি চার আর ৫টি ছক্কা। সাথে ডেভিড মিলারের ২৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।

২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে উঠে গেলো ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান। টি২০তে তো এই স্কোরই জয়ের জন্য গ্যারান্টি। কিন্তু ক্যারিবীয়দের সামনে বুঝি এই গ্যারান্টিও টেকে না! ১৯ রানের মাথায় হারাতে হলো ডোয়াইন স্মিথের উইকেট। এরপর গেইল আর স্যামুয়েলস মিলে যা করলেন তা রীতিমত অবিশ্বাস্য!

১৫২ রানের জুটি গড়ে ক্যারিবীয়দের জন্য সহজ জয়ই নিশ্চিত করে তারা দু’জন। ৪১ বলে ৯০ রান করে আউট হন গেইল। ৩৯ বলে ৬০ রান করেন মারলন স্যামুয়েলস। এ দু’জন আউট হয়ে গেলেও স্যামি-রামদিনদের বাকি কাজ করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। জয় যখন নিশ্চিত হলো তখনও ৪ বল ছিল হাতে। আর উইকেট ছিল আরও ৪টি। অথ্যাৎ ৪ উইকেটে অসাধারণ এক জয় তুলে নিল ক্যারিবীয়রা।