5d67f5d0d395147276661f10d3cc017f_XL

দৈনিকবার্তা-ঢাকা ১২ জানুয়ারি: বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার দলের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জোটের নেতা-কর্মীদের সাথে দেশের জনগণকে আন্দোলনে শরিক ও স্বতস্ফূর্তভাবে রাজপথে নামার আহবান জানিয়েছেন৷

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে মহিলা দলের কয়েকজন নেত্রী সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে সাক্ষা করতে গেলে বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে এসব কথা বলেছেন৷সাক্ষাত শেষে মহিলা দলের নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মহিলা দলের নেতৃবৃন্দকে বলেছেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সফল করতেই হবে৷ এছাড়া বিকল্প নেই৷ সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে৷ তিনি (বেগম জিয়া) দেশের জনগণকে আন্দোলনে শরিক ও স্বতস্ফূর্তভাবে রাজপথে নামার আহবান জানিয়েছেন৷’

মহিলা দলের নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে জানিয়ে বলেন, তাঁর সঙ্গে আমাদের কুশল বিনিময় হয়েছে৷ তাকে দেখতে আমরা এখানে এসেছিলাম৷সোমবার দুপুরে ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে মহিলা দল ঢাকা মহানগরের একটি প্রতিনিধি দল বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন৷ তাদের মধ্যে ছিলেন- আতিকা খন্দকার, তাহমিনা শাহীন, হেনা আলাউদ্দিন, মিলি জাকারিয়া, রিটা আলী, নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, রোকেয়া সুলতানা তামান্না প্রমুখ৷ তারা জানান, তারা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন৷

মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে আবারো নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে৷ সোমবার অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ৷ ৭টি বালু ভর্তি ট্রাক রাখা হয়েছে কার্যালয়ের আশপাশের রাস্তায়৷ পুলিশের টহল গাড়ি এবং জলকামানের ব্যারিকেড এখনো রয়েছে৷

এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন৷ পর দিন ৪ তারিখে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৩টি মাটি ও বালুর ট্রাক মোতায়েন করা হয়৷ পরবর্তী ৩/৪ দিনের মধ্যে একে একে সেসব ট্রাক সরিয়ে ফেলা হয়৷ তবে রোববার থেকে নতুন করে মাটির ট্রাক মোতায়েন শুরু হয়েছে৷

গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নবম দিন পার করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া৷ ৫ জানুয়ারি বিএনপি জোটের ‘গণহত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনের দু’দিন আগে ৩ জানুয়ারি রাতে এ কার্যালয়ে টওবেশের পর আর বের হননি তিনি৷ তার এ অবস্থানকে অবরুদ্ধ বলে দাবি করছে বিএনপি৷

সোমবার সকালে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের অবস্থান দেখা যায়৷ এছাড়া, কার্যালয়ে যেন গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা না যায় অথবা কার্যালয় থেকে যেন গাড়ি নিয়ে বের না হওয়া যায় সেজন্য আগের মতোই প্রবেশপথে আড়াআড়িভাবে জলকামান ও পুলিশ ভ্যান রাখতে দেখা যায়৷

কার্যালয়ের সামনের সড়কের উত্তর পাশে পুলিশের বড় দু’টি ভ্যান এবং কার্যালয়ের সড়কের দক্ষিণ পাশে আড়াআড়িভাবে একটি জলকামান রাখা হয়েছে৷ এর থেকে কয়েক গজ দূরে রয়েছে পুলিশের একটি মানব দেয়াল৷ তার পাশেই রাস্তার একধারে রয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দুটি ময়লার ট্রাক৷

এর আগে অবশ্য, দ্বিতীয় দফায় রোববার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে সেখানে মাটি, ইট ও বালুভর্তি ৭টি ট্রাক রাখা হলেও রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়৷ গত ৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন৷ পর দিন সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ইট, বালু, সুরকি ও পাথরভর্তি ১৩টি ট্রাক রাখা হয়৷ এরপর ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ১১টি ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়৷