rangpur

দৈনিকবার্তা-রংপুর, ১৪ জানুয়ারি: বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুরে বাসে আগুনে এক শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন৷ আগুনে দগ্ধ আরো কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে আগুন দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে মিঠাপুকুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান৷

তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে যাত্রী নিয়ে খলিল পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল৷ রাত ১টার দিকে মিঠাপুকুরের জায়গীরহাটে শাপলা হিমাগারের কাছে পৌঁছালে ব্যারিকেড দিয়ে বাসটি থামানো হয়৷এরপর পেট্রোল ঢেলে বাসটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা৷ এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃতু্য হয় বলে জানান তিনি৷নিহতদের মধ্যে দুজন নারী এবং দুই থেকে তিন বছরের একটি শিশু রয়েছে৷
বাসে আগুনে দগ্ধ এক শিশুসহ ছয়জন এবং ঘটনার সময় বাস থেকে নামতে গিয়ে আহত সাতজনকে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ড. আব্দুল কাদের খান জানান৷পরে সকালে দগ্ধ এক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয় বলে রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানান৷
তিনি বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিত্‍সাধীন পাঁচজনের মধ্যে এক বৃদ্ধার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে৷ অন্য দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক৷ এ ঘটনায় হতাহতদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ৷ নিহতদের লাশ রংপুর মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে৷মিঠাপুকুরের ওই এলাকায় জামায়াত ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের শক্ত অবস্থান রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷

এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার পর মিঠাপুকুরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত কর্মীরা৷সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে সাতজন নিহত হন৷