1010মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার গনাইসার গ্রামের শামসুল আলম চোকদারের ছেলে মিরন। গ্রামের হাজার খানেক লোক মিরন চোকদার ও তাঁর বাহিনীর কাছে জিম্মি। মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। মিরনের ভয়ে আতঙ্কিত গনাইসারের খেটে খাওয়া মানুষ
এলাকার উঠতি বয়সের তরুনদের গাঁজা,ইয়াবা, ফেন্সিডিলে আসক্ত করার পিছনে মাদক ব্যবসায়ী মিরন চোকদারের অবদান আছে বলে আক্ষেপ করেন গনাইসার গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি।
সরেজমিন অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, মিরন চোকদার ও তার বাহিনীর রাসেল চোকদার,সোহেল, চঞ্চল,হাফেজসহ আরো অনেকে আওয়ামীলীগ কর্মী আয়শা ও তার ১১ বছরের কিশোর ছেলে আশিককে ব্যাপক মারধর করে এবং ট্যাটা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এঘটনায় থানায়  মামলা দায়ের করে আয়শা। ১০ জানুয়ারী মিরন চোকদার তার বাহিনী নিয়ে আয়শাকে রাস্তার উপর শ্লীলতাহানী করে। এ ঘটনায় গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। আহত হয় অনেক। আয়শাকে মিরন ও তাঁর বাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করে। এ ব্যাপারে আয়শা থানায় একটি অভিযোগ দেয়। মিরন চোকদার প্রভাবশালী হওয়ায় আয়েশার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় আবারও হামলা হতে পারে বলে আতঙ্কিত আয়শা। এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনা সত্য আমি নিজেই দুইবার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মিরন চোকদার খারাপ প্রকৃতির লোক,সে নানা রকম অন্যায় কাজের সাথে জড়িত। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
এ বিষয়ে আয়শা বলেন মিরন চোকদার তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। তাঁর প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার কারনেই সে আমাকে ও আমার ছেলেকে বেশ কয়েকবার কুপিয়ে আহত করেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে মিরন চোকদার বলেন আয়শা একটা খারাপ মেয়ে তাই একটু শায়েস্তা করেছি।
মামলার বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হুমায়ন কবীরের মোবইলে চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি