bdpic-of-khoka-press-conf-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ জানুয়ারিযুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের নামে গণমাধ্যমে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি৷ এরা হলেন-বিএনপির বৈদেশিক দূত ও বিশেষ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাহিদ এফ সর্দার সাদী ও ডা. মজিবর রহমান মজুমদার৷

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান৷বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠির অনুলিপি এ সময় সাংবাদিকদের বিতরণ করা হয়৷

চিকিত্‍সার জন্য নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত খোকা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয় অবরুদ্ধ থাকায় এ বিষয়ে ঢাকায় প্রেস কনফারেন্স করা সম্ভব হয়নি বলে আমি কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি৷

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজন এ সময় খোকার পাশে ছিলেন৷ খোকা বলেন, আপনাদের মত আমরাও গণমাধ্যমের সূত্রে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কতিপয় সদস্যের একটি তথাকথিত বিবৃতির খবর জানতে পারি৷ পরক্ষণে আবার সংবাদ মাধ্যমের খবরেই জানা যায় যে, বিবৃতিটি সঠিক নয়৷

এটি ছিল ব্যক্তি বিশেষের রহস্যময় তত্‍পরতার ফসল৷ নিন্দনীয় এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই জন প্রবাসী প্রতিনিধির সম্পৃক্ততার তথ্য জানাজানি হওয়ার প্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাত্‍ক্ষণিকভাবে তাদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন৷

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাহিদ ও মজিবরকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির বৈদেশিক দূত ও বিশেষ উপদেষ্টা করা হয়েছিল৷কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি প্রচারের পিছনে বাংলাদেশ সরকারের প্ররোচনা থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা খোকা৷

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা এবং তার ছেলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছেন বলে গত ৮ জানুয়ারি কয়েকটি গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের নামে একটি ‘মিথ্যা বিবৃতি পাঠানো হয়৷প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, ইউএনবিসহ বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের নামে ওই বিবৃতির খবর প্রকাশ করে৷এর প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতি পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেস সদস্য৷